মোজাহিদুল ইসলাম, কলারোয়া: কলারোয়া ভূমি অফিসে ২২ মাস ধরে সহকারি কমিশনার (ভূমি) পদটি শূন্য রয়েছে। আর এতে উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের সেবা নিতে আসা মানুষ চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। জমির খাজনা, মিউটেশন, বন্দোবস্ত, ইজারা, খাস জমি ডিসিআর ইত্যাদি নানা কাজে এসে ফিরে যেতে হচ্ছে সেবা নিতে আসা গ্রহীতাদের।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রায় ২২ মাস পূর্বে ২২-১১-২০১৬ তারিখে সহকারী কমিশনার ভূমি (এসিল্যান্ড) সানজিদা জেসমিন বদলী হয়ে অন্যত্র চলে যান। এরপর থেকে এই দপ্তরে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার রায় ও মনিরা পাবভীন। বর্তমানে মনিরা পারভীনও পদোন্নতি পেয়ে অন্যত্র চলে যাওয়ায় ভূমি অফিসের কার্যক্রম থমকে গেছে।
নাম না প্রকাশের শর্তে উপজেলা ভূমি অফিসের এক কর্মকর্তা জানান, মাসে প্রায় ৩ শতাধিক জমির চেক কাটা, খাজনা আদায়, খাস জমির ডিসিআর ও মিউটেশন করতে হয়। দীর্ঘদিন এসিল্যান্ড না থাকায় আমরা পড়েছি নানা জটিলতায়। সময়মত জমির মালিকদের মামলা মিটিয়ে সমাধান দিতে পারছি না। অফিসের দাপ্তরিক কাজ বিঘিœত হচ্ছে। সেই সাথে উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের ও একটি পৌরসভার জমির মালিকরা অফিসে এসে কোন সমাধান না পেয়ে দুর্ভোগের শিকার হয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন।
সেবা নিতে আসা পৌর সদরের বাসিন্দা মোস্তফা জানান, উপজেলা ভূমি অফিসে এসিল্যান্ড না থাকায় কার্যক্রমে স্থবিরতা নেমে এসেছে। সাধারণত ভূমি অফিসে কেউ ঘুষ ছাড়া কথা বলে না। আর এখন যেহেতু অফিসার নেই সেহেতু ঘুষের মাত্রাও বেড়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, সময় মতো কোনও কর্মকর্তাকে অফিসে পাওয়া যায় না। এক একটি মিউটেশন কেস সম্পন্ন করতে পাঁচ হাজার থেকে বারো হাজার টাকা পর্যন্ত ঘুষ নেওয়া হচ্ছে।
এ ব্যাপারে হয়রানি ও দুর্ভোগের শিকার হওয়া থেকে রক্ষা পেতে অনতিবিলম্বে এসিল্যান্ড নিয়োগে জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।
কলারোয়া ভূমি অফিসে ২২ মাস এসিল্যান্ড নেই, জনদুর্ভোগ চরমে
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/