Site icon suprovatsatkhira.com

আশাশুনির মোকামখালি স্লুইস গেটের মুখে পলি জমে পানি নিষ্কাশন বন্ধ, জলাবদ্ধতা সৃষ্টি

সমীর রায়: আশাশুনিতে কাদাকাটি ইউনিয়নের মোকামখালি স্লুইস গেট দুটির মুখে পলি জমে পানি নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে গেছে। এতে এলাকায় কৃত্রিম জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে কয়েকটি বিলে হাজার হাজার বিঘা জমির চিংড়ীঘের ও আমন ধান চাষ বন্ধের উপক্রম হয়েছে। খালটি পুনঃখননের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।
সরেজমিনে দেখা গেছে, তেতুলিয়া বাজার থেকে পূর্বদিকে কিছুপথ গিয়ে মোকামখালী গ্রামে মরিচ্চাপ নদীর উপরে পরপর দুটি স্লুইস গেট অবস্থিত। এ দুটি গেট দিয়ে তালা থানার পানিসহ আশাশুনি থানার দরগাপুর ইউনিয়নের সোনাই, তকিপুর, ঝাউবুনিয়া, কালাবাগি, হোসেনপুর, খরিয়াটি, মহিষাডাঙ্গা, কাদাকাটি ইউনিয়নের তালবাড়িয়া, ঝিকরা, কর্চাখালী, টেংরাখালী, যদুয়ারডাঙ্গা, পূর্বকাদাকাটি, কাদাকাটিসহ আরো অনেক গ্রামের পানি নিষ্কাশন হয়ে থাকে।
বর্তমানে মৃতপ্রায় এ নদী থেকে জোয়ারের পানিতে খুব বেশি হারে পলিমাটি ওঠায় খালটি ভরাট হয়ে গেছে। কয়েক বছর আগেও এ খাল দিয়ে পানি নিষ্কাশন হতো। কিন্তু সম্প্রতি স্লুইস গেটের মুখে পলিমাটি ভরাট হয়ে প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় ডুবে আছে এসব গ্রামের কয়েক হাজার বিঘা ধানের ফসল ও চিংড়ী ঘের। দ্রুত পলি অপসরণ করা না হলে জলাবদ্ধতা ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। একটু ভারি বৃষ্টি হলেই ভেসে যাবে চিংড়ী ঘেরগুলো।
এ ব্যাপারে কাদাকাটি ইউপি চেয়ারম্যান দীপংকর কুমার সরকার দীপ জানান, আশাশুনি উপজেলার দুই ইউনিয়নসহ তালা উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের মানুষ ভরাট হওয়া এ খালের কারণে খুব ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। একটু ভারি বৃষ্টি হলে এলাকায় পানি নিষ্কাশনের কোন পথ না থাকার কারণে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। চিংড়ী ঘের ও ধানের জমিসহ অনান্য ফসল ডুবে একাকার হয়ে যায়। তাছাড়া নি¤œ এলাকার বসত বাড়ি ডুবে মানুষ ভিটে ছাড়া হয়ে থাকে। কয়েক বছর আগে পানি উন্নয়ন বোর্ড সামান্য কাজ করেছিল। কিন্তু তেমন কোন লাভ হয়নি। এলাকার মানুষের স্বার্থে পলি অপসরণ করে খাল দুটি খননের ব্যবস্থা করা দরকার।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version