Site icon suprovatsatkhira.com

হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী গাদন খেলা

সাইফুল ইসলাম, কলেজ প্রতিনিধি (দেবহাটা): আবহমান বাংলার গ্রামীণ খেলাগুলোর মধ্যে বেশিরভাগ খেলাই আজ হারিয়ে যেতে বসেছে। গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী জনপ্রিয় খেলাগুলোর মধ্যে একটি হলো গাদন খেলা। তবে কালের বিবর্তনে দিন দিন হারিয়ে যেতে বসেছে গ্রাম বাংলার জনপ্রিয় এই খেলাটি। কিছু কিছু খেলা চোখে পড়লেও হাতে হাতে মোবাইল থাকায় শিশুরা সেটাও ভুলতে বসেছে।
তারপরও অনেকেই ধরে রাখার চেষ্টা করছে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী এই গাদনখেলা। গাদন খেলা আমাদের দেশের অন্যতম একটি গ্রামীণ সংস্কৃতি। আর এই খেলাকে বেশ কিছু মানুষ পেশা ও শখ হিসেবে বেছে নিয়েছিল। খেলার মধ্য দিয়েই মানুষকে আনন্দ দিয়ে মন জাগানোই ছিলো তাদের কাজ।
কিন্তু এখন এই গাদন খেলা প্রায় বিলুপ্তির পথে। তবুও শত প্রতিকূলতার মাঝেও এলাকার অনেকেই গ্রাম বাংলার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে লালন করার চেষ্টা করছে। বিগত বছরগুলোতে এই ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখতে জেলা, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নানা পালা পার্বণে আয়োজন করা হতো এই গাদন খেলা। খেলোয়াড়দের ঝুঁকিপূর্ণ ঘুর দৌড়ে আনন্দে উল্লাসে মেতে উঠতো আমুদে দর্শকবৃন্দ। উপস্থিত দর্শকদের উচ্ছ্বাস প্রমাণ করে গাদন খেলা নিয়ে মানুষের আগ্রহ কতটা অটুট।
দেবহাটা উপজেলার বেশকিছু জায়গায় গাদন খেলাটির প্রচলন মাঝে মধ্যে দেখা গেলেও বর্তমানে আর চোখে পড়ে না। দেবহাটার কুলিয়া, সখিপুর হাসপাতাল চত্বর, ভাতশালাসহ বেশ কয়েকটি জায়গায় এই খেলা দেখা যেত।
সখিপুর হাসপাতাল চত্বরের গাদন খেলোয়াড়রা বলেন, উপযুক্ত জয়গা না থাকা আর কর্মব্যস্ততার মাঝে গাদন খেলাটি আমাদের মাঝ থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে। বর্তমানে গ্রাম বাংলার এই ঐতিহ্য ধরে রাখার প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করেন সকল খেলোয়াড় ও খেলোয়াড় প্রেমিক দর্শকরা।
উল্লেখ্য, গ্রামাঞ্চলে এক সময় শতাধীক গ্রামীণ খেলাধুলার প্রচলন ছিল। আগে ছেলে-মেয়েরা হা-ডু-ডু, কাবাডি, গাদন, গোল্লাছুট, দাঁড়িয়াবাঁন্ধা, কপালটোকা, কানামাছি, নৌকাবাইচ, লাঠিখেলা, এক্কাদোক্কা, ওপেন্টি বায়োস্কোপ, বৌছি, কুমির কুমির খেলা, মোরগ লড়াই, লুকোচুরি, পুতুল খেলা, রান্নাবাটি সহ অনেক খেলা হতো।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version