Site icon suprovatsatkhira.com

মণিরামপুর হাসপাতাল থেকে প্রসূতি মা ও নবজাতক গায়েবের ঘটনায় বেরিয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য

মণিরামপুর(যশোর) প্রতিনিধি: মণিরামপুর হাসপাতালে প্রসূতি মাসহ নবজাতক গায়েবের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসছে। এ ঘটনার মূল হোতা এফডব্লিউভি (পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা) সালমা খাতুন থেকে যাচ্ছেন ধরা ছোঁয়ার বাইরে। তবে, এখন পর্যন্ত প্রসূতি মা ও নবজাতকের কোন সন্ধান মেলেনি। এ নিয়ে মণিরামপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পক্ষ থেকে এবং সিভিল সার্জন অফিসের পক্ষ থেকে পৃথক দুটি উচ্চতর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (১৪ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টার দিকে মণিরামপুর হাসপাতাল থেকে প্রসূতি মাসহ নবজাতক গায়েবের ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে হাসপাতালে তোড়পাড়ের সৃষ্টি হয়। পরদিন বুধবার (১৫ আগস্ট) তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠনসহ অভিযুক্ত দুই নার্সকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডা. আব্দুল গফ্ফার ওই দিনের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. রাজীব পালকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। এরপর সিভিল সার্জন অফিস ডা. হারুণ অর রশিদকে প্রধান করে কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও অভয়নগরের গাইনি বিশেষজ্ঞকে সদস্য করে আরো একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। সিভিল সার্জন ডা. দিলীপ রায় বলেন, জেলা সিনিয়র নার্স চাইনা খাঁ’র মাধ্যমে তদন্ত করা হয়েছে। বাকি তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে একটি সূত্র জানায়, উপজেলার জয়পুর গ্রামের গর্ভবতি ওই মা গত সোমবার (১৩ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে এফডব্লিউভি সালমা খাতুনের কাছে আসেন। এসময় কাজ সারতে তিন হাজার টাকার চুক্তি হয়। গর্ভবতী মাকে পরদিন আসার কথা বলেন সালমা খাতুন। মঙ্গলবার (১৪ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে আসলে সালমা খাতুন গর্ভবতী মায়ের ডেলিভারির চেষ্টা করেন। কিন্তু গর্ভবতী মায়ের অবস্থা খারাপ হলে তিনি হাসপাতালের নার্স হ্যাপী রায়ের কাছে নিয়ে যান। এরপর হাসপাতালের লেবার রুমে নিয়ে গিয়ে গর্ভবতী মায়ের ডেলিভারি করা হলে নবজাতককে ফেলে রেখে মা পালিয়ে যান। ওই দিন হাসপাতালের সিসি ক্যামেরায় ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করলে বিষয়টি খোলসা হবে বলে ওই সূত্র নিশ্চিত করে। পরে এ ঘটনা নিয়ে তোড়পাড়ের সৃষ্টি হলে নবজাতকও উধাও হয়ে যায়।
এ বিষয়ে সালমা খাতুন ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে বলেন, ওই গর্ভবতী মা তার কাছে আসলেও তিনি ওইসব কাজ করেন না বলে তাকে জানিয়ে দেন। অপর এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, তিনি ওই দিন কাজের জন্য অপারেশন থিয়েটারে গিয়েছিলেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আব্দুল গফ্ফার বলেন, এ ঘটনার সাথে সালমা খাতুনের জড়িত থাকার খবর আমরা পেয়েছি, তাকেও তদন্ত কমিটির কাছে হাজির হওয়ার জন্য চিঠি দেয়া হয়েছে।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version