মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি: ৭১ এ আল বদর বাহিনী সক্রিয় একজন সদস্য ছিলো ডাঙ্গামহিষদিয়া গ্রামের আব্দুল হামিদ সরদার। অথচ এই বৃদ্ধ বয়সে রাজাকার হামিদ আমাকে নিয়ে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করে চলেছে। আমার একটিই অপরাধ বলে মনে করি আমি ডাঙ্গামহিষদিয়া দাখিল মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হওয়া। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ লালন করে এই বৃদ্ধ বয়সে একজন রাজাকারের ষড়যন্ত্রের কাছে আমাকে পরাজয় শিকার করতে হচ্ছে। এই রাজাকার হামিদ ২৩ জুলাই ২০১৮ এক সংবাদ সম্মেলন করে আমাকে দূর্নীতিবাজসহ বিভিন্ন মিথ্যা অভিযোগে অভিযুক্ত করে হেয়প্রতিপন্ন করেছে। যা সমাজের কাছে সমালোচিত ব্যক্তিতে পরিণত হয়েছি। রোববার (৫ আগস্ট) বিকাল ৪টায় মণিরামপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মণিরামপুরের কুলটিয়া ইউপি’র আওয়ামীলীগ নেতা ও ডাঙ্গামহিষদিয়া দাখিল মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. হাশেম আলী এসব কথা বলেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো দাবী করে বলেন, মাদ্রাসার সুপার পদটি শুন্য রয়েছে। যা নিয়োগের প্রক্রিয়া চালানো হচ্ছিল। এমতাবস্থায় আমাকে নিয়ে এই রাজাকার আব্দুল হামিদ লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়ে জামায়াত-শিবিরকে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে এমন সব কাল্পনিক অভিযোগ তুলে গরম খবর তৈরী করেছে। যা ভিত্তিহীন ছাড়া কিছুই না। এ পদের জন্য একাধিক প্রার্থীর আবেদন হাতে পাওয়ার পর পরিচালনা পরিষদ কাকে নিবেন সেটাও সিদ্ধান্ত নেয়নি। অথচ আমাকে দূর্নীতিবাজ বানিয়ে জামায়াত নেতা রহিমকে নিয়োগ দিচ্ছি লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়ে এমন অভিযোগ তোলা হয়। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মো. হাশেম আলী বলেন, আমার নিজ গ্রামের মৃত আনোয়ার সরদারের ছেলে এই আব্দুল হামিদ ৭১ এ বদর বাহিনীর একজন সক্রিয় সদস্য ছিল। যা এলাকার নির্যাতিত ব্যক্তিরা আজও ভুলতে পারেনি। ওই সময় আমার চাচা মৃত গোপাল সরদার পাড়িয়ালী গ্রামের আব্দুল বারি বিশ্বাসসহ অনেকেই তার নির্যাতনের শিকারে ক্ষতিগ্রস্থ। অথচ এই বৃদ্ধ বয়সে একজন রাজাকারের উক্তিতে আমি একজন দূর্নীতিবাজ এমন অপবাদ নিয়ে নিরব থাকতে হচ্ছে। যেখানে নিয়োগ দেওয়া হলো না সেখানে কিভাবে লক্ষ লক্ষ টাকা আমাকে প্রার্থীরা দিল তা আমি বুঝলাম না। তিনি দাবী করেন, একজন রাজাকারের এসব অভিযোগ হাস্যকর ছাড়া কিছুই না।
মণিরামপুরে মাদরাসা সভাপতির সংবাদ সম্মেলন
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/