Site icon suprovatsatkhira.com

মণিরামপুরে ভিজিএফ’র চাল বিতরণে অনিয়ম প্রমাণিত

মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি: মণিরামপুর উপজেলার হরিহরনগর ইউনিয়নে বরাদ্দকৃত ভিজিএফের ১৫ টন চাল জব্দের ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্ত কার্যের প্রথম দিনেই অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি। সোমবার (২৭ আগস্ট) দিনভর মণিরামপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ড. আবুজার সিদ্দিকী, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ইয়ারুল হক, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা আব্দুস সবুরের সমন্বয়ে গঠিত তিন সদস্যের কমিটি এ তদন্ত করেন। এসময় জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি হিসেবে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব ইয়ারুল হক জানান, এবারের ঈদে হরিহরনগর ইউনিয়নের ৪ হাজার ২০২ কার্ডধারী অসহায় পরিবারের জন্য ২ হাজার ৮০১ বস্তা (৮৪ মেট্রিক টন) চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। ঈদের আগেই উপকারভোগীদের মাঝে চালগুলো বিতরণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু অভিযোগ ওঠে, ইউপি চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম চাল বিতরণে অনিয়ম করেছেন। অভিযোগ ছিল, চেয়ারম্যান কিছু চাল বিতরণ না করে আত্মসাতের উদ্দেশে একটি গুদামে মজুদ রেখেছেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে গত ২০ আগস্ট ওই ইউনিয়ন পরিষদ-সংলগ্ন খাটুরা বাজারের নূর ইসলাম নামের এক ব্যবসায়ীর গুদাম থেকে ভিজিএফের ১৫ মেট্রিক টন (৩০৩ বস্তা) চাল জব্দ করা হয়। এঘটনায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটি গত সোমবার (২৭ আগস্ট) সরেজমিন তদন্ত করে বেশ কিছু অনিয়ম ও দুর্নীতির তথ্য মিলেছে বলে জানান উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ইয়ারল হক।
তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ড. আবুজার সিদ্দিকী বলেন, তদন্ত কাজ শুরু হয়েছে। আরো কিছুদিন সময় লাগবে। তদন্ত কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।
এদিকে জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি ও জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম বলেন, উপকারভোগীদের যে তালিকা সরকারিভাবে প্রনয়ন করা হয়েছিল তার সাথে ইউনিয়ন পরিষদের তালিকা ও মাস্টার রোলের মিল পাওয়া যায়নি। সরেজমিন তদন্তে কয়েকজন উপকারভোগী, সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যদের সাথে কথা বলা হয়েছে। কিন্তু তাদের বক্তব্যের মধ্যে মিল পাওয়া যায়নি। এছাড়া মাস্টার রোল তদন্ত করে দেখা গেছে, একই পরিবারের পাঁচজনের নামে চাল উত্তোলন করা হয়েছে, যেখানে সবার পিতার নাম একই। আবার কয়েকজন কলেজছাত্রের নামও রয়েছে তালিকায়। তবে চেয়ারম্যান তার বক্তব্যে বলেছেন, আমি নতুন নির্বাচিত হয়েছি, বিষয়টি বুঝে উঠতে পারিনি, বলেন ত্রাণ কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version