Site icon suprovatsatkhira.com

বিআরটিএ’র কালেকশন বুথে অতিরিক্ত অর্থ নেওয়ার অভিযোগ

ডেস্ক রিপোর্ট: সাতক্ষীরা বিআরটিএ’র কালেকশন বুথে ড্রাইভিং লাইসেন্সের টাকা জমা দেওয়ার সময় অতিরিক্ত অর্থ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বুথের সামনে গ্রাহকরা সকাল ৮টা থেকে লাইনে দাঁড়িয়েও সঠিক সময়ে টাকা জমা দিতে পারছেন না। কিন্তু কিছু মানুষের কাছ থেকে এক’শ থেকে দুই’শ টাকা অতিরিক্ত নিয়ে তাদের টাকা আগে জমা নিচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা। এতে দূর-দূরান্ত থেকে আসা মানুষ পড়ছে চরম বিপাকে। লাইনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়েও তারা টাকা জমা দিতে পারছেন না।
ভুক্তভোগী গ্রাহকরা জানান, সকাল ৮টা থেকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়েও টাকা জমা দিতে পারছে না তারা। কিন্তু পাশের লাইনে দাঁড়িয়ে এক’শ থেকে দুই’শ টাকা দিয়ে অনেকে তাদের টাকা জমা দিয়ে চলে যাচ্ছে। দালাল এসে আপনার কাজ আগে করে দেব বলে পাশে ডেকে নিয়ে যাচ্ছে। ব্যাংকের কর্মকর্র্তার সাথে সখ্যতা তৈরি করে দুই’শ টাকার বিনিময়ে সেই গ্রাহকের কাজ করে দিচ্ছে দালাল। এতে লাইনে দাঁড়ানো গ্রাহকদের টাকা জমা নিচ্ছেন না ব্যাংক কর্মকর্তা। দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পরে একজন করে টাকা জমা দিতে পারছে। এতে অনেক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে তাদের।
এ ব্যাপারে মটর সাইকেলের লাইসেন্সের টাকা জমা দিতে আসা শ্যামনগরের আব্দুল সেলিম গাজী বলেন, সকাল সাড়ে ৯টায় লাইনে এসে দাঁড়িয়েছি। এখন বেলা ১২টা বাজে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত টাকা জমা দিতে পারিনি। পাশ থেকে এক’শ বা দুই’শ টাকা নিয়ে তাদের টাকা আগে জমা নেওয়া হচ্ছে। এতে লাইনে দাঁড়ানো মানুষ টাকা জমা দিতে পারছে না। এক জায়গায় এতক্ষণ কী দাঁড়িয়ে থাকা যায়।
এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা বিআরটিএ’র সহকারি পরিচালক তানভীর আহমেদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন কাজের চাপ বেশি এজন্য গ্রাহকদের হয়তো দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। আর একটা বিষয় হচ্ছে ন্যাশনাল ব্যাংক টাকা নিচ্ছে না। ন্যাশনাল ব্যাংকের সাথে কথা হয়েছে আগামীকাল থেকে হয়তো টাকা নেবে। আশাকরি তখন আর এরকম সমস্যা হবে না। বুথের উপর এখন সব চাপ পড়ছে। ট্রাফিকের দৌড়ানি খেয়ে আসে এজন্য সবাই অস্থির হয়ে থাকে। বুথ থেকে তো অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার কথা নয়। আমি বিষয়টি দেখবো। যদি এরকম কেউ করে থাকে তবে আমি ব্যাংকের হাই অথোরিটিকে বিষয়টি বলবে। তবে দালালের বিষয়টি আসলে ঠিক না। কাজের চাপ কমে গেলে আশাকরি এসব অভিযোগ আর থাকবে না।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version