পাইকগাছা প্রতিনিধি: পাইকগাছায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে গড়ইখালী ইউপির পাতড়াবুনিয়া শ্মশান কালীমন্দিরের দখলীয় সরকারি সম্পত্তিতে প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে ঘরবাড়ি নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ স্থানীয় আমজেদ গাইনের ছেলে আছাদুল ও হাজী রহমত গাইনের ছেলে ফরহাদ হোসেন লোকজন নিয়ে জোরপূর্বক ওই জমিতে টিনসেডের ঘরবাড়ি নির্মাণ করেছেন। খবর পেয়ে শুক্রবার দুপুরে ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা নির্মাণাধীন কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। ইতোপূর্বে প্রতিপক্ষ এই জমিতে স্থাপনা করার চেষ্টা করলে সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপে সে চেষ্টা ব্যর্থ হয় বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে পাতড়াবুনিয়ার ভবতোষ মণ্ডল জানান, দু’উপজেলার সীমান্তে শুঁড়িখালী বাজারের কাছে গড়ইখালী অভিমুখে পিচের রাস্তার পাশে সরকারি জমিসহ নুরপুর ও আমিরপুর মৌজার এসএ ৩৩৫ খতিয়ানের ৪০৪ এর কিছু অংশ ও ৫০৬ দাগে জমির উপর পাতড়াবুনিয়া শ্মশান ও কালীমন্দির প্রতিষ্ঠিত। এদিকে ক্রয়কৃত সম্পত্তির দাবি করে ইতোপূর্বে আছাদুল-ফরহাদ গাইনরা শ্মশানসহ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণে থাকা জমিতে স্থাপনা তৈরি করে দখল চেষ্টা করলে স্থানীয়দের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপে এই নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে জমির বিরোধে ভবতোষ মণ্ডল পাইকগাছার জজ আদালতে দেও. ১৯১/ ১৪ মামলা করলে আদালত দু’পক্ষকেই নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেন।
কালী মন্দির কমিটির সভাপতি সুকুমার মণ্ডল জানান, শুক্রবার সকালে কোন আলোচনা ছাড়াই হাজী রহিম সাহেবের ছেলে ফরহাদ ও আছাদুল গাইন লোকজন নিয়ে মন্দিরের দখলে থাকা জমিতে ঘরবাড়ি নির্মাণ করেছেন। এদিকে মন্দির সংলগ্ন সরকারি জমিতে ঘরবাড়ি নির্মাণের কথা শুনে সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. আব্দুল আউয়াল ইউনিয়ন সহকারি ভূমি কর্মকর্তাকে পাঠিয়ে নির্মাণ কাজ বন্ধ করেছেন। তবে এ নির্দেশনা না মেনে শুক্রবার বিকেলেও প্রতিপক্ষ কাজ চলমান রেখেছেন বলে স্থানীয়দের আভিযোগ। সরকারি জমির কথা অস্বীকার করে নিজেদের জমিতে ঘর বাঁধার কথা বলেছেন আছাদুল ও রহিম গাইনের ছেলে ফরহাদ হোসেন।
পাইকগাছায় মন্দিরের জমি দখল করে বাড়ি নির্মাণের অভিযোগ
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/