জিএম আজিজুল ইসলাম, ফিংড়ী: ভবনের অভাবে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে আশাশুনি উপজেলার হাজীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। পূর্বের ভবন ভেঙে ফেলায় ছোট্ট একটি টিনের বেড়া দেওয়া ঘরে ১৩৫ জন শিক্ষার্থীর শ্রেণি কার্যক্রম চলছে এই বিদ্যালয়ে। এজন্য কর্তৃপক্ষের অবহেলাকে দায়ী করছেন স্থানীয়রা।
সূত্র জানায়, নতনু ভবন নির্মাণের জন্য গত এপ্রিল মাসে বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবনটি টেন্ডারের মাধ্যমে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। এরপর তিন মাস অতিবাহিত হলেও নতুন ভবনের কাজ শুরু হয়নি এখনো। এলাকাবাসীর সহযোগিতায় বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ক্লাস চালানোর জন্য গোলপাতার ছাউনি ও টিনের বেড়া দিয়ে শ্রেণি কার্যক্রম চালাচ্ছেন। কিন্তু ১৩৫ জন শিক্ষার্থীর শ্রেণি কার্যক্রম ছোট্ট টিনের বেড়ার ঘরে চালানো প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, স্কুলের চেয়ে ঘেরের বাসাগুলো বড়। পিয়ন নিয়োগের সময় লক্ষ লক্ষ টাকা লেনদেন হয়েছে। তখন অনেক নেতার আনাগোনা ছিল। কিন্তু এখন কোথায় গেল সেইসব নেতারা।
এ ব্যাপারে ১নং শোভনালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রভাষক মোনায়েম হোসেন দৈনিক সুপ্রভাত সাতক্ষীরাকে বলেন, বিদ্যালয়ের ভবনটি কয়েক মাস পূর্বে সরকারিভাবে টেন্ডারের মাধ্যমে বিক্রি করে দেওয়া হয়। এর পর দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও নতুন ভবন কাজ শুরু হয়নি। তাই কোমলমতি শিক্ষার্থীরা বহু কষ্টে ক্লাস করছে। এলাকাবাসীর সহযোগিতায় গোলপাতা ও টিনের বেড়া দিয়ে ক্লাস চালানো হচ্ছে। নতুন ভবন নির্মাণের কতদূর? তা আমাদের জানা নেই।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রথিন চন্দ্র দাশ বলেন, বিদ্যালয়ে ৪ জন শিক্ষক ও ১৩৫ জন ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে অনেক কষ্টে ক্লাস করতে হচ্ছে। বিদ্যালয়ের ফলাফল অনেক ভালো। ঝড়, বৃষ্টি উপেক্ষা করে গোলপাতার ছাউনি ও টিনের বেড়ার মধ্যে আমাদের ক্লাস নিতে হয়। এখন বর্ষাকাল গোলপাতার ছাউনি দিয়ে পানি পড়ে, শিক্ষার্থীদের বই ও জামা-কাপড় নষ্ট হয়। তাই দ্রæত নতুন ভবন নির্মাণের জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।
৫ম শ্রেণীর একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা আগামী নভেম্বরে সমাপনী পরীক্ষা দেব। এখন বর্ষাকাল স্যারেরা ঠিকমত ক্লাস নিতে পারছে না। আমরাও ক্লাসে বসতে পারছি না। একটু বেশি বৃষ্টি হলে আমাদের বই-খাতা ভিজে যায়।
নতুন ভবন নির্মাণের কতদূর?
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/