মীর খায়রুল আলম, দেবহাটা: দেবহাটা উপজেলায় মাঠ জুড়ে চলছে আমন আবাদ। কেউবা ঘাস নিংড়াচ্ছেন, কেউবা আইল বাঁধছেন। এভাবে সর্বত্র আমন ধানের ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষীরা।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে দেবহাটার ৫টি ইউনিয়নে ৫২৮০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে কুলিয়া ইউনিয়নে ১২৩০, পারুলিয়া ইউনিয়নে ১২৪৭, সখিপুর ইউনিয়নে ৮৭০, নওয়াপাড়া ইউনিয়নে ১৩৬৫ ও দেবহাটা সদর ইউনিয়নে ৬৬৫ হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ হয়েছে। এতে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৪ হাজার ৮৯০ মেট্রিক টন। তবে পরিমাণ মতো বৃষ্টি হলে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে- এমনটাই প্রত্যাশা কৃষি অধিদপ্তরের।
এদিকে, উপজেলায় ৪৯, ব্রি-৫১, ৫২, ৭১, ৭৩, ৭৬সহ কয়েকটি জাতের ধান রোপণ করা হয়েছে। তবে নিচু এলাকা ও মৎস্য ঘেরে জলাবদ্ধতা সহিষ্ণু ব্রি-৭৬ জাতের ধান রোপণের পরামর্শ দিয়েছে কৃষি অধিদপ্তর।
এ ব্যাপারে সখিপুরের কৃষক আব্দুর রাকিব বলেন, আমি দুই বিঘা জমিতে হাইব্রিড জাতের ধান রোপণ করেছি। কৃষি বিভাগের নিয়ম মেনে বীজতলা ও চারা রোপণ করেছি। আমার ধান ক্ষেতের অবস্থা দেখে আমি মনে করি আশানুরুপ ধান পাব।
একই ইউনিয়নের কৃষক ফজর আলী বলেন, আমি আট বিঘা জমিতে আমন আবাদ করেছি। ধানের ক্ষেতে পোকামাকড়, রোগ-বালাই দেখা না দিলে ভাল ফলন পাব। আর ধান বিক্রয় করে সংসারের স্বচ্ছলতা ফেরাতে পারব।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের উপ-সহকারি কৃষি অফিসার ইব্রাহিম খলিল বলেন, দেবহাটায় এবছর ৫২৮০ হেক্টর জমিতে আমন ধান আবাদ হয়েছে। ভারি বৃষ্টি আর ধানের খোলপড়া ও পেড়া রোগ দেখা না দিলে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছি। এছাড়া বিপর্যয় ঠেকাতে কৃষি অফিস থেকে কৃষকদের জন্য বিভিন্ন পরামর্শের পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয় তদারকি করা হচ্ছে। যেমন, পরিমিত সার ব্যবহার, লাইন করে সারিবদ্ধভাবে ধান লাগানো, সঠিক বয়সে চারা রোপণ, ফসলের ক্ষেতে ডাল বা চটা দিয়ে পার্চিং ব্যবস্থা করা হয়েছে কি না ইত্যাদি। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগ না ঘটলে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয়ে কৃষক লাভবান হবে।
দেবহাটায় আমন আবাদে ব্যস্ত কৃষক
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/