ডুমুরিয়া প্রতিনিধি: খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার বুড়ি ভদ্রা নদীর ভাঙনে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন চার ইউনিয়নের মানুষ। কয়েক বছরের ভাঙনে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে ক্ষতি হয়েছে কোটি কোটি টাকার সম্পদ। নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে স্কুল, মাদ্রাসা, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ কয়েক হাজার বিঘা সম্পত্তি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার শরাফপুর ইউনিয়নে ২৯নং পোল্ডারের আখড়া, শনি আখড়া, ভুল বাড়িয়া, রতনখালী, চাঁদগড়, বকুলতলা, বারআড়িয়া, কোদলা ও শম্ভুনগরসহ প্রায় ২০ গ্রামের মানুষ ভেড়িবাধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশংকা করছে। এলাকায় বুড়িভদ্রা নদীতে অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধি ও প্রবল ¯্র্েরাতের কারণে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। প্রতিদিন জোয়ারের সময় স্্েরাতের মুখে ভেঙ্গে পড়ছে ওই পোল্ডারের শোলমারী থেকে সম্ভুনগর পর্যন্ত কয়েক কিলোমিটার বেড়িবাঁধ। ইতোমধ্যে কয়েকশ পরিবার তাদের সহায়-সম্বল বসতভিটা হারিয়ে অনত্র চলে গেছে। হাজার হাজার বিঘা ফসলি জমি ও বসতভিটা রাতারাতি বিলীন হয়ে গেছে নদীর বুকে। এ পরিস্থিতিতে এলাকাবাসী রয়েছেন আতঙ্কের মধ্যে।
এলাকাবাসী জানান, গত কয়েক বছর ধরে নদীতে অব্যাহত ভাঙন থাকায় আমরা ঝুঁকিতে আছি। এবছর ভাঙনের অবস্থা আরো খারাপ। যে কোন সময় বাঁধ ভেঙে ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে। স্থায়ীভাবে ভাঙন প্রতিরোধে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করচি।
শরাফপুর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ রবিউল ইসলাম রবি জানান, টানা কয়েক বার বাঁধ ভেঙে যাওয়ার কারণে এলাকার প্রায় চারশো পরিবার তাদের জায়গা জমি সব কিছু নদীতে চলে যাওয়ায় অনত্র চলে গেছে। এ যাবৎ বিকল্প বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে কয়েক বার। চলতি বর্ষা মৌসুমে দুর্বল বেড়িবাঁধে ধস নামতে শুরু করেছে। যে কোন সময় বাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হতে পারে।
ডুমুরিয়ায় বুড়ি ভদ্রা নদীর বেড়িবাঁধ ভাঙন আতংকে এলাকাবাসী, বাঁধ সংস্কারের দাবি
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/