জিএম আজিজুল ইসলাম: সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ফিংড়ী ইউনিয়নের জিফুলবাড়ী দরগাহ শরীফ এতিমখানার ভবন নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের বরাদ্দকৃত ৫ লক্ষ টাকা এতিমখানারর একতলার দেওয়াল ও মেঝে প্লাস্টারের জন্য দেওয়া হয়। কিন্তু ঠিকাদারের গাফিলতির কারণে কাজ শেষ হওয়ার ১ সপ্তাহ পর ফাটল, কালো দাগ ও প্লাস্টারে ছিদ্র হয়ে যায়। বাধা দিলে ঠিকাদার লাকী বলেন, আমি সাতক্ষীরার কাউকে ভয় করিনা এমনকি পুলিশ প্রশাসনও আমাকে ভয় পায়।
মঙ্গলবার (১৪ আগস্ট) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঠিকাদার ২জন মিস্ত্রি ও ২জন মিস্ত্রির হেলপার দ্বারা দায় সাড়ানোর জন্য দেওয়ালে পুটিং করছে। এসময় স্থানীয় লোকজন বাধা দিলে ঠিকাদার ফোনে হুমকি দিয়ে বলে তোদের চাঁদাবাজি মামলায় দেওয়া হবে। আমি সাতক্ষীরার কাউকে ভয় করিনা এমনকি পুলিশ প্রশাসনও আমাকে ভয় পায়।
এব্যাপারে জানতে চাইলে ঠিকাদার লাকী বলেন, জেলা পরিষদের বরাদ্দকৃত ৫ লক্ষ টাকা মেঝে ও দেওয়াল প্লাস্টার করার কাজটি আমি নিয়েছি। আমার অনুপস্থিতিতে মিস্ত্রিরা কাজ করছে। সেজন্য একটু সমস্যা হয়েছে। স্থানীয় লোকজনদের হুমকির বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি বলেন, সকালে আমার চার জন লোক কাজ করতে গিয়েছিল। কিন্তু স্থানীয় লোকজন বাধা দেওয়ায় মিস্ত্রিরা কাজ না করে চলে আসে। আমি কাউকে হুমকি ধামকি দেয়নি।
এব্যাপারে সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন, জেলা পরিষদের বরাদ্দকৃত পাঁচ লক্ষ টাকা দিয়ে একতলার মেঝে ও দেওয়াল প্লাস্টার করার জন্য দেওয়া হয়েছে। আমি অনিয়মের বিষয়টি শুনেছি। তাৎক্ষনিক জেলা পরিষদের ইঞ্জিনিয়ার সাহেব কে অবহিত করেছি। ভবনে কোন অনিয়মের চিহ্ন পাইলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জিফুলবাড়ী এতিমখানার ভবন নির্মাণে অনিয়ম!
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/