কলারোয়া প্রতিনিধি: পবিত্র ঈদ-উল-আযহাকে কেন্দ্র করে জমে উঠেছে কলারোয়া পৌরসভার পশুর হাট। পবিত্র ঈদ-উল-আযহাকে সামনে রেখে সাপ্তাহিক হাট বার হিসেবে সোমবার ও শুক্রবার কলারোয়া হাটে অন্যান্য দিনের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি গবাদি পশু ওঠে। হাটে কোরবানি যোগ্য গরু-ছাগল-মহিষ নিয়ে আসে জেলার বাইরের ব্যাপারীরাও।
পশু হাট কর্তৃপক্ষ জানায়, হাটের পরিবেশ ক্রেতা ও বিক্রেতা বান্ধব এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার থাকায় এ হাটের ঐতিহ্য রয়েছে। হাটে গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়াসহ বিভিন্ন ধরণের পশু বিক্রয় করা হচ্ছে।
এদিকে আর মাত্র কয়েক দিন পরেই কেরবানির ঈদ। এ কারণে বেশ জমজমাট ভাবেই বেচাকেনা শুরু করেছে কলারোয়া পশু হাটের ব্যাপারীরা।
শুক্রবার (১৭ আগস্ট) হাট ঘুরে দেখা গেছে, ছোট ও মাঝারি আকারের গরুর চাহিদা বেশি। এ বছর পশুর দাম গত বছরের তুলনায় কিছুটা বেশি। এতে সন্তুষ্ট খামারী ও গরু ব্যবসায়ীরা। লক্ষ্য অনুযায়ী মূল্য পাওয়ায় ক্ষতি পোহাতে হচ্ছে না খামারিদের। একইভাবে সাধ ও সাধ্যের সমন্বয় ঘটিয়ে পশু কিনছেন ক্রেতারা। তাই বিক্রিতেও রয়েছে প্রতিযোগিতা। একই সাথে হাটে ভারতীয় গরু নেই বলে বেশ স্বস্তিতে আছেন খামারিরা।
হাটের গরুর ব্যাপারীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, জেলার পশুরহাট গুলোতে এবার বিভিন্ন এলাকা থেকে দেশী পশু আসছে। তবে ভারত, নেপাল ও ভুটান থেকে গরু কম আসায় দাম কিছুটা বেশি। গত বছর যেখানে বাজারে মাংসের কেজি ছিল ৩৫০টাকা থেকে ৪০০টাকা। সেখানে এ বছর মাংসের কেজি ৪৫০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা। এই হিসেবে পশুর দাম গত বছরের তুলনায় কিছুটা বেশি। হাটে মহিষ ও ছাগলের আগমণও যথেষ্ট। যা চাহিদার তুলনায় বেশি যোগানই বলা চলে। আর এই হাটে অন্য হাটের তুলনায় বিক্রিও বেশি।
হাটে গরুর দাম ৩০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে দুই লক্ষ টাকা পর্যন্ত হাকছেন বিক্রেতারা। তবে সর্বোচ্চ এক লাখ ৫৫ হাজার টাকার গরু ও ২১ হাজার টাকার ছাগল বিক্রি হতে দেখা গেছে। এছাড়া ২৫ হাজার থেকে ৪৫ হাজার টাকা দামের গরু বেশী বিক্রি হচ্ছে। বেশিরভাগ ছাগলের দাম ৪ হাজার টাকা থেকে ২০ হাজার টাকার মধ্যে। তবে ৮ থেকে ১২ হাজার টাকা দামের ছাগল বেশী বিক্রি হচ্ছে।
কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনিরা পারভীন, কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মারুফ আহমেদের নেতৃত্বে পুলিশের বিশেষ টিম নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছে।
জমে উঠেছে কলারোয়া পৌর পশুর হাট
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/