গাজী আব্দুল কুদ্দুস, চুকনগর: চুকনগরে বিনয় নামে এক ব্যক্তি নিজেকে পল্লী বিদ্যুতের অফিসার পরিচয় দিয়ে গরীব গ্রাহকদের কাছ থেকে মাসে একশ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে চুকনগর অভিযোগ কেন্দ্র ও উপজেলা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তারা বলছে, বিনয় দাস নামে তাদের কোন কর্মচারী বা অফিসার নেই।
উপজেলার চুকনগর দাস পাড়ার সুধীর দাসের ছেলে বিকাশ দাস, শ্যামাপদ দাসের ছেলে বিপ্লব দাস, কেষ্টপদ দাসের ছেলে উজ্জ্বল দাস, সুনীল দাসের ছেলে অশোক দাস, লক্ষণ দাসের ছেলে উজ্জ্বল দাস, পাগলা দাসের ছেলে জাদব দাস, মাঝে দাসের ছেলে পাইকিং দাস, হরিপদ দাসের ছেলে হরেন দাস, কালিপদ দাসের ছেলে সাধন দাস, জিতেন্দ্র দাসের ছেলে দিপংকর দাস, পাগল দাসের ছেলে শিবপদ দাস, নিমাই দাসের ছেলে হামকুচ দাস অভিযোগ করে করে বলেন, তাদের গ্রামের আল্লাদ দাশের ছেলে বিনয় দাস গত দুই-তিন বছর ধরে আমাদের কাছ থেকে প্রতি মাসে একশ টাকা হিসাবে মাসোয়ারা নেয়। কি কারণে টাকা নেয় তা জানতে চাইলে তারা বলেন, আমরা গরীব অশিক্ষিত অসহায় ভ্যান চালক। বিনয় দাস একজন শিক্ষিত যুবক হওয়ায় তিনি তাদের মিটারগুলো উপরের কর্মকর্তাদের দিয়ে বাণিজ্যিক করে দেয়ার ভয় দেখিয়ে প্রতি মাসে একশত টাকা করে মাসোয়ারা নেয়। অনেক সময় টাকা দিতে দেরি হলে তিনি বিদ্যুৎ বিলের কাগজ আটকিয়ে দেন। তাকে টাকা না দেয়া পর্যন্ত বিলের কাগজ তার কাছে আটকানো থাকে। এ কারণে এই গরীব ভ্যান চালকদের জরিমানাও গুণতে হয়। তাই এলাকাবাসীর প্রশ্ন কে এই বিনয়? কার মাধ্যমে তিনি বিদ্যুৎ বিলের কাগজগুলো পান। নাকি ঊর্ধ্বতন কোন অফিসার গরীবের মাথার ঘাম পায়ে ফেলানো টাকা চুষে খাচ্ছে। এর উত্তর খুঁজে পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।
এ ব্যাপারে বিনয় দাস বলেন, তাকে তাদের প্রতিপক্ষ ফাঁসানোর জন্য মিথ্যা কথা বলছে।
গরীব ভ্যান চালক বিকাশ দাস, উজ্জ্বল দাস ও অশোক দাস বলেন, আমাদের টাকা আয় হোক বা না হোক তাকে প্রতি মাসে একশ টাকা দিতেই হবে। টাকা না দিলে মিটার বাণিজ্যিক করে দেয়া, বিলের কাগজ আটকানোসহ লাইন কেটে দেয়ার হুমকি দেয়। নিরুপায় হয়ে ভয়ে তারা তাকে মাসোয়ারা দেয়। চুকনগর অভিযোগ কেন্দ্রের ইনচার্জ সুফল পাল বলেন, চুকনগর দাস পাড়া থেকে কয়েকজন ভ্যান চালক বিনয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে তার কাছে এসেছিল।
কিন্তু তিনি বিনয়ের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করে ভ্যান চালকদের বলেন আজকের পর থেকে যদি কোন ব্যক্তি টাকা চাই তখন তাদেরকে জানালে পুলিশ দিয়ে তাকে ধরে আনা হবে। উপজেলা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ডিজিএম আবুল কালাম আজাদ বলেন, বিষয়টি আমি জানতাম না। আপনাদের মাধ্যমে যখন জানতে পারলাম এখন আমি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
চুকনগরে পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকদের ভয় দেখিয়ে মাসোয়ারা আদায়ের অভিযোগ
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/