চুকনগর (খুলনা) প্রতিনিধি: ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগরে গৃহবধূ শিখা রানী মণ্ডল নিখোঁজের এক মাস অতিবাহিত হলেও তার কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। এলাকাবাসীর অভিযোগ- তার স্বামী চৈতন্য মন্ডল তাকে মেরে গুম করে ফেলেছে।
এদিকে, কুলবাড়িয়া গ্রামে গিয়ে খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে, চৈতন্য মণ্ডল ও তার পিতা ধীরেন মণ্ডলের পরিাবরের বিরুদ্ধে ইতোপূর্বে নিজেদের পরিবারের তিন জনকে মেরে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানায়, স্ত্রী শিখা রানী মণ্ডলের সাথে স্বামী চৈতন্য মন্ডলের দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক কলহ চলছিল। একারণে শিখার স্বামী চৈতন্য মণ্ডল, একমাত্র ছেলে, ছেলে বউ ও শ্বশুর তার সাথে কথা বলত না। বিভিন্ন সময় তাকে মারধর ও নির্যাতন করত। ঠিকমত খাওয়া পরা দিত না এবং চরিত্রহীন বলে বিভিন্ন সময় তাকে বাড়ি থেকে বের করে দিত। তারপরও তিনি নিজের সংসারের কথা চিন্তা করে শত নির্যাতনের পরও বাড়ি থেকে এক বিন্দু নড়েনি সে। ঘটনার দিন ২৭জুন দিবাগত রাতে স্বামী চৈতন্য মন্ডল শিখা রানীকে মৎস্য ঘেরে ঘুমানোর জন্য ডেকে নিয়ে যায়। তারপর থেকে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাছাড়া তাকে সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতে কেউ দেখেনি এবং তার পরিহিত শাখা সিদুরও ভাঙ্গা অবস্থায় বাড়িতে পাওয়া যায়। তাই অধিকাংশ এলাকাবাসীর ধারণা শিখা রানীকে তার স্বামী চৈতন্য মৎস্য ঘেরে মেরে গুম করে ফেলেছে।
এ ব্যাপারে চৈতন্য কুমার মণ্ডল জানায়, আমার স্ত্রী শিখা রানী মণ্ডল (৪২) গত ২৮ জুন ভোর ৬টার দিকে কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে চলে গেছে। স্ত্রী চলে যাওয়ার পর তাকে খোঁজাখুজি করে না পেয়ে ৮দিনের মাথায় ডুমুরিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করি। কিন্তুু ১মাস ৫দিন অতিবাহিত হলেও এখনো পর্যন্ত পুলিশ ও তার পরিবার নিখোঁজ শিখার অবস্থান জানতে পারেনি। পুনরায় ডুমুরিয়া থানায় একটি মামলা করতে গেলে থানা পুলিশ তার মামলা নেয়নি এবং তার অভিযোগও তুলে নেয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছে।
এ ব্যাপারে মামলার তদকারী কর্মকর্তা এএসআই অসীম কুমার বলেন, চৈতন্য নিজের অপকর্ম ঢাকতে অভিযোগের পর থানায় এসে আবার মামলা করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু কয়েকটি কারণে মামলা নেয়া হয়নি। তবে আরও কিছুদিন আমরা চেষ্টা করব। তারপর শিখারানীকে খুঁজে পাওয়া না গেলে আসামি হিসাবে চৈতন্যকে গ্রেফতার করা হবে।
চুকনগরে গৃহবধূ নিখোঁজ, গুমের অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/