Site icon suprovatsatkhira.com

কোনভাবেই বাধা যাচ্ছে না খোলপেটুয়ার ভেঙে যাওয়া বাঁধ

সমীর রায়, আশাশুনি: আশাশুনির শ্রীউলা ইউনিয়নের থানাঘাটায় খোলপেটুয়া নদীর ভেঙে যাওয়া বাঁধটি ২য় বারের মতো সংস্কার করা হলেও বুধবার দুপুরের জোয়ারে তা আবারো নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। বুধবার (১৫ আগস্ট) সকালে ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা সাকিলের নেতৃতে গ্রামের শত শত মানুষ ভেঙে যাওয়া বেড়িবাঁধটির কিছুটা ঘুরে রিংবাঁধ দিয়ে পানি আটকে দিতে সক্ষম হয়। কিন্তু খোলপেটুয়া নদীর করালগ্রাসে দুপুরের জোয়ারেই আবার রিংবাঁধের প্রায় ৩০ হাত জায়গা ভেঙে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। পরে বিকাল থেকে আবারও লোকজন নিয়ে বাঁধটি মেরামত করতে শুরু করেন ইউপি চেয়ারম্যান সাকিল। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রাতেও জেনারেটর জালিয়ে কাজ চলছিল।
এদিকে, জোয়ার-ভাটা খেলায় প্লাবিত হওয়া ১০টি গ্রাম এখনো পানিবন্দী অবস্থাতেই রয়েছে। মানবেতর জীবনযাপন করছে সেখানে বসবাসরতরা। প্রতিদিনই নতুন নতুন কাঁচা ঘরবাড়ি ভেঙে পড়ছে। এ পর্যন্ত দুইশতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে। পানিবন্দী মানুষ খাবার পানি সংকটে ভুগছে।
এর আগে মঙ্গলবার ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. আ.ফ.ম রুহুল হক এমপি। এসময় তিনি বাঁধটি আটকাতে সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন এবং দুর্দশাকবলিত মানুষের সাথে কথা বলেন এবং তাদের খোঁজখবর নেন।
প্রসংগত, গত রবিবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে শ্রীউলা ইউনিয়নের থানাঘাটা গ্রামের খোলপেটুয়া নদীর বাঁধ ভেঙে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে এখনো পানিবন্দী হয়ে আছে থানাঘাটা, হাজরাখালী, বকচর, বিলবকচর, হাজরাখালী, মাড়িয়ালা, ঢালিরচক, বুড়াখারআটি, দক্ষিণ পুইজালা ও মহিষকুড় গ্রাম।
মাড়িয়ালা মাধ্যমিক বহুমুখী ঘুর্ণিঝড় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে প্রায় ২০টি পরিবার। তাদের ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে শুকনা খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version