মো. আব্বাস উদ্দীন, মণিরামপুর: পরিচর্যা ও দেখভালের অভাবে মণিরামপুরের উপজেলা পরিষদ চত্বরসহ অফিস পাড়ার পরিচ্ছন্নতা প্রকল্পটি মুখ থুবড়ে পড়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় ময়লা ও উচ্ছিষ্ট দ্রব্যাদি রাখার জন্য বাঁশের চটি দিয়ে তৈরি ঝুড়ি উপজেলা পরিষদসহ অফিসপাড়ায় বিভিন্ন গাছের সাথে লটকানো হয়। উদ্যোগটিকে সচেতন মহল সাধুবাদ জানিয়েছিলো। কিন্ত এ সব ঝুড়ির পাত্র যথাযথভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা তথা সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও দেখভালের অভাবে সেগুলো এখন পরিত্যক্ত ডাস্টবিনে পরিণত হতে চলেছে।
জানা যায়, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভ‚মি) হোসাইন মুহাম্মদ আল-মুজাহিদ ২০১৭ সালের ১৭ আগস্ট মণিরামপুরে যোগদানের পর ভ‚মি অফিসের দুর্নীতি দূর করাসহ জনসাধারণের ভোগান্তি কমাতে নানা ধরণের পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। তাঁর একান্ত চেষ্টায় উপজেলা পরিষদ চত্বর, ভ‚মি অফিস চত্বরসহ সরকারি অফিস পাড়ায় পরিবেশবান্ধব ও সৃজনশীল কর্মকাÐের মাধ্যমে ফুলে-ফুলে সাজানোসহ ওই সমস্ত এলাকাকে নির্মল ও পরিচ্ছন্ন রাখতে পরিবেশ বান্ধব দেশীয় ক্ষুদ্র কুঠির শিল্প বাঁশের ও কুঞ্চির তৈরী ঝুড়ি বিভিন্ন গাছের সাথে ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানের লটকানোর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। এ ধরনের ব্যতিক্রমধর্মী কাজের জন্য তিনি ব্যাপক প্রসংশা কুড়িয়েছিলেন। কিন্তু বর্তমানে সেগুলো অযতœ-অবহেলায় ও পরিচর্যার অভাবে ডাস্টবিনের পরিত্যক্ত ময়লায় পরিণত হয়েছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, উপজেলা পরিষদ চত্বরসহ অফিস পাড়ার বারান্দায় বা গাছে-গাছে দেশীয় বাঁশের ঝুড়ি ঝুলানোর যে উদ্যোগ তিনি নিয়েছিলন তা রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বছর না ঘুরতেই সাইনবোর্ড সর্বস্ব হিসেবে পড়ে আছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সদ্য যোগদানকারী উপজেলা নির্বার্হী অফিসার মো. আহসান উল্লাহ শরিফী বলেন, পরিছন্নতার জন্য এ ধরণের উদ্যোগটি খুব ভাল। এ গুলো সংরক্ষণের জন্য অচিরেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অযত্নে অবহেলায় মণিরামপুর উপজেলা পরিষদ চত্বরের পরিচ্ছন্নতা প্রকল্প মুখ থুবড়ে পড়েছে
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/