Site icon suprovatsatkhira.com

স্কুল পরিবর্তন করেও শেষ রক্ষা হয়নি, অপহৃত মেয়েকে উদ্ধারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

ডেস্ক রিপোর্ট: স্কুলে যাতায়াতের পথে আমার মেয়েকে উত্ত্যক্ত করতো বখাটে সবুজ শেখ। আমি ইউপি চেয়ারম্যানকে জানালে তিনি মেয়েকে অন্য স্কুলে ভর্তি করার কথা বলেন। করলামও তাই। কিন্তু আমার মেয়েটিকে রক্ষা করতে পারিনি। আশাশুনির দরগাহপুর গ্রামের গোলাম নবীর ছেলে সবুজ শেখ তাকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে। গত ১৫ জুলাইয়ের পর থেকে তার কোনো খোঁজ আর মেলেনি। সবুজও পালিয়েছে বাড়ি থেকে।
মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে আশাশুনি উপজেলার শ্রীধরপুর গ্রামের ভাড়ায় মোটর সাইকেল চালক বারিক সরদার এই অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, মেয়েকে না পেয়ে আমরা হতাশ। আশাশুনি উপজেলা চেয়ারম্যান এবিএম মোস্তাকিম মেয়েটিকে উদ্ধারের জন্য পুলিশকে সময় বেঁধে দিয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ কথা দিয়েও তা মানে নি। এমনকি তেমন সহযোগিতাও করেনি। অথচ মেয়েটিকে উদ্ধারের জন্য পুলিশ ও স্থানীয় ইউপি মেম্বর আমার কাছ থেকে বেশ কিছু টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তারা আমার টাকা ফেরত দিচ্ছে না। আর মেয়েকেও উদ্ধার করলো না।
বারিক সরদার বলেন, তার মেয়ে দরগাহপুর কিন্ডার গার্টেন অহেদা খাতুন মহিলা বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণিতে পড়তো। যাতায়াতের পথে কুপ্রস্তাব দিয়ে তাকে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করতো স্কুলের পাশের গোলাম নবীর ছেলে সবুজ শেখ। এ বিষয়ে তার বাবা মাকে জানানো হলে তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। উল্টো তারা বলেছে, তাদের ছেলে সুইস্ইাড করলে বারিককে জবাব দিতে হবে।
বারিক সরদার বলেন, তিনি ঘটনাটি দরগাহপুরের চেয়ারম্যান মিরাজ উদ্দিনকে জানিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘তোমার মেয়েকে অন্য স্কুলে ভর্তি করো’। বারিক বলেন, তার কথা মতো মেয়েকে খরিয়াটি হাইস্কুলে ভর্তি করেছি। তা সত্তে¡ও গত ১৫ জুলাই ক্ষেত থেকে সবজি আনার সময় বখাটে সবুজ শেখ মোটর সাইকেল তুলে তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। আমি উপজেলা চেয়ারম্যানকে বিষয়টি জানাই। তিনি তাকে উদ্ধারের জন্য পুলিশকে ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেন। সে অনুযায়ী ওসি বিপ্লব কুমার নাথ এসআই মঞ্জুরুল ইসলামকে সময় বেঁধে দেন। কিন্তু ছয় দিনেও উদ্ধার না হওয়ায় আমি সাতক্ষীরার আদালতে মামলা করি। এতে তিনজনের নাম উল্লেখ করি। মামলাটি চলমান রয়েছে। মামলার অপর দুই আসামি হচ্ছে সবুজের বোন শ্যামলী ও তার মা।
বারিক সরদার বলেন, মেয়েকে হারিয়ে আমরা দিশেহারা। মাঝে মধ্যে মেয়েকে দিয়ে আমার ফোনে কথা বলায়। সে বলে, আব্বা মিটমাট করে নাও। না হলে তোমার বিপদ হবে। তারপর আর ফোন ধরে না। নো অ্যানসার হয়ে যায়।
বারিক বলেন, আমি আমার মেয়েকে ফেরত চাই। এ জন্য সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version