Site icon suprovatsatkhira.com

সাংবাদিকদের সাথে সাতক্ষীরা-৪ আসনে আ’লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী আতাউর রহমানের মতবিনিময়

ডেস্ক রিপোর্ট: সাতক্ষীরা-৪ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী মুক্তিযোদ্ধা আতাউর রহমান সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেছেন। রোববার (১৯ আগস্ট) দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের শহীদ স ম আলাউদ্দিন মিলনায়তনে পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত সহকারী পুলিশ সুপার শেখ আতাউর রহমান সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়ে মিলিত হন।
এসময় তিনি বলেন, কালিগঞ্জ যেন এতিম। দেখার কেউ নেই। আমি জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হতে পারলে এ অঞ্চলের মানুষের সার্বিক উন্নয়ন হবে। আমার এলাকার মানুষের মতই আমিও অখণ্ড কালিগঞ্জের স্বপ্ন দেখি। কিন্তু বাস্তবতায় খণ্ডিত কালিগঞ্জ এখন দুটি আসনে বিভক্ত। একটি সাতক্ষীরা-৩, অপরটি সাতক্ষীরা-৪। আমি সাতক্ষীরা-৪ আসনে জনগনের প্রতিনিধিত্ব করতে চাই।
তিনি বলেন, উন্নয়নের গতিধারা যাতে স্থায়িত্ব লাভ করে সেজন্য আবারও আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনতে হবে। আর এজন্য আমরা সবাই কাজ করে যাচ্ছি। সবার দোয়া চাই উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, সুযোগ পেলে জনগণের সেবা করেই কাটাতে চাই বাকি জীবন। আমার দল আওয়ামী লীগ যাকে মনোনয়ন দেবে আমি তার পক্ষে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাবো।
এরই মধ্যে আমি উত্তর শ্রীপুরে মুক্তিযোদ্ধা আতাউর রহমান স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছি। ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত এই স্কুলে বর্তমান ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ২৫০ টিরও বেশী। ২০০৮ সালে পুলিশের চাকুরি থেকে অবসর নেওয়ার পর আমি নির্বাচনী ভাবনায় নেমেছি। এখন আমি তৃণমূল পর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছি। মহান মুক্তিযুদ্ধে নিজের অংশগ্রহণের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ৯ নং সেক্টরে আমি মেজর জলিলের সাথেই ছিলাম। কল্যাণমূলক কাজ হিসাবে কালিগঞ্জের উত্তর শ্রীপুরে বিএম টেকনিক্যাল কলেজ প্রতিষ্ঠা, কফিলউদ্দিন মাদ্রাসা ও এতিমখানা প্রতিষ্ঠা, বাজারগ্রাম রহিমপুর ও কাশেমপুর মসজিদের প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় উপাসনালয় প্রতিষ্ঠা করে জনগণের কাছাকাছি যাবার চেষ্টা করেছি। তিনি জানান, ছাত্রজীবনে তিনি খুলনা সিটি কলেজে লেখাপড়ার সময় ছাত্রলীগের কলেজ শাখার সম্পাদক ছিলেন। ১৯৭০ এর সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পক্ষে দেবহাটা-কালিগঞ্জ আসনে কাজ করেন এবং ১৯৭১ এ সংগ্রাম পরিষদের সক্রিয় সদস্য ছিলেন তিনি। ভারতের বিহারের চাকুলিয়ায় মুক্তিফৌজ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন তিনি। ১৯৭১ সালের অক্টোবর মাসে সিলেকশন পেয়ে কমিশন র‌্যাংকে ট্রেনিং গ্রহণ এবং ৫ আগস্ট তৃতীয় বেঙ্গল রেজিমেন্টের সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট হিসাবে ব্রেভো কোম্পানির দায়িত্ব পালন করেন তিনি। সেনাবাহিনীর ডেপুটি চিফ অব স্টাফ জেনারেল জিয়াউর রহমানকর্তৃক তিনিসহ ১৪ জন অফিসার চাকুরিচ্যুত হন। পরে ১৯৭৩ সালে তিনি যোগদান করেন পুলিশ বাহিনীতে। আতাউর রহমান আরও বলেন, ২০০৭ সালে জোট সরকারের আমলে তিনি আবারও চাকুরিচ্যুত হন। তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার আংশিক তদন্ত কর্মকর্তা হিসাবে পুরস্কৃত হন।
আতাউর রহমান বলেন, সারাজীবন চাকুরির মধ্য দিয়েই কাটিয়েছি। আগামী সময়গুলো জনগণের সেবক হিসাবে কাজ করতে চাই।
মুক্তিযোদ্ধা আতাউর রহমান সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে বলেন, জনগণ আমাকে নির্বাচিত করলে আমি তাদের কল্যাণে কাজ করে যেতে পারবো। তিনি বলেন, সাংবাদিকরা সমাজের দর্পণ। আমি তাদের সাথে সম্পর্ক রেখে জনগণের সেবা করতে চাই।
মতবিনিময় সভায় তার সহযোগী হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আব্দুল হামিদ, আওয়ামী লীগ নেতা অমল কুমার ঘোষ, জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা নরিম আলী মাস্টার, জাসদ (ইনু) নেতা মোদাচ্ছের হোসেন ঝন্টু, সাংবাদিক আনোয়ার হোসেন, সাংবাদিক সুকুমার দাস বাচ্চু ও আবুল হাসেম।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version