Site icon suprovatsatkhira.com

শ্রেণিকক্ষে পানি!

এমআর মামুন, বল্লী: সামান্য বৃষ্টিতেই সদর উপজেলার বল্লী ইউনিয়নের ৪৯নং রঘুনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জলাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। পানি উঠেছে শ্রেণিকক্ষেও।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের মাঠ ছাপিয়ে শ্রেণিকক্ষে পানি উঠেছে। এতে ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান। নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। বিদ্যালয়ের ৩য়, ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে পানির মধ্যে বসেই ক্লাস করছে। ক্লাস রুমে পানি জমায় শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিও ছিল খুবই কম।
৫ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী রুপা পারভীন, মিরাজ, সুমন ও রাকিবুল জানায়, বৃষ্টি হলেই ক্লাস রুমে পানি জমে। এতে ক্লাস করতে পারিনা। মাঠেও পানি ভরা থাকে, তাই খেলাধুলাও করতে পারি না। পায়ে ঘা হয়। সারাদিন ভিজে ক্লাস করলে জ্বর আসে। টয়লেটে যাওয়ার কোন উপায় থাকে না।
বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা মোছা. ফাতেমা খানম জানান, পানি নিষ্কাশনে যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়ায় এলাকার পানি এসে জমছে বিদ্যালয় চত্বরে। গত ৮ বছর ধরে বর্ষা মৌসুম এলেই এই সমস্যার সৃষ্টি হয়। এসময় ছেলে-মেয়েদেরকে নিয়ে অন্যত্র গিয়ে ক্লাস করাতে হয়। রাস্তার চেয়ে বিদ্যালয় চত্বর প্রায় ৩ ফুট নিচু এবং স্কুল মাঠ থেকে ক্লাস রুম ৬ ইঞ্চি নিচু হওয়ায় প্রতিবছরই এই দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এমনকি জলাবদ্ধতার কারণে টয়লেটে না যেতে পারায় শিক্ষার্থীসহ আমরা বাধ্য হয়ে স্থানীয়দের টয়লেট ব্যবহার করতে গেলে নানা রকম সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয়। এজন্য, ম্যানেজিং কমিটি ও শিক্ষকমণ্ডলীর উদ্যোগে বিকল্প টয়লেট ব্যবস্থা হিসাবে স্লাপ বসানোর কাজ চলছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৫০ সালে বিদ্যালয়টি স্থাপিত হওয়ার পর থেকে খুব সুনামের সাথে চলছে। শিক্ষকমÐলী খুবই আন্তরিক ও বন্ধুসুলভ। কিন্তু বছরে ৩ মাসেরও বেশি সময় ডুবে থাকায়, হাতে পায়ে সংক্রামক রোগসহ বিভিন্ন রোগে ভুগতে থাকে ছাত্র-ছাত্রীরা। এতে শিক্ষা গ্রহণে অমনোযোগী হয়ে পড়ে শিক্ষার্থীরা।
বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভপতি রুহুল আমিন সরদার বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে ১৮০ ফুট ড্রেন কেটে পাইপের ব্যবস্থা করলে সাময়িকভাবে হলেও এই সমস্যার সমাধান হতে পারে।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version