আগস্ট ২৭, ২০১৮
শ্যামনগরের পানখালি গুচ্ছগ্রামকে ঘিরে প্রশাসনের নানা পরিকল্পনা
![]() শ্যামনগর প্রতিনিধি: সারাদেশে ভূমিহীনদের পুনর্বাসনে তৈরি হয়েছে গুচ্ছগ্রাম। পল্লী অঞ্চলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং নদী ভাঙ্গনের ফলে দুর্গত পরিবারকে সরকারি খাসজমিতে তৈরিকৃত ইকোভিলেজে বসতভিটাসহ স্বামী-স্ত্রী উভয়ের নামে অথবা একক নামে কবুলিয়্যাত প্রদান করে দারিদ্র্য বিমোচন অথবা নারী অধিকার নিশ্চিত করা, পুনর্বাসিত পরিবারগুলোকে সামাজিক সুরক্ষা দেয়া, শিক্ষা, নিরাপদ পানি, স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা ও দীর্ঘমেয়াদী পুকুর লিজ প্রদান করাসহ আয় বর্ধনমূলক প্রশিক্ষণ ও ক্ষুদ্রঋণ দেওয়ার লক্ষ্যে তৈরি করা হয় এসব গুচ্ছগ্রাম। এরই প্রেক্ষিতে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়লীনি ইউনিয়নের হতদরিদ্রদের আশ্রয়স্থল হিসেবে পানখালি গুচ্ছগ্রাম তৈরি হলেও এখানে ছিলো নানাবিধ সমস্যা। কিন্তু বর্তমানে উপজেলা প্রশাসন ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় নতুনভাবে সাজতে শুরু করেছে গুচ্ছগ্রাম। উপজেলা প্রশাসনের নতুন নতুন কর্মসূচি ও কর্মকা-ে গুচ্ছগ্রামের মানুষের দিন বদলের পালা শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে গুচ্ছগ্রামের ৪০ ঘর মানুষের ভাগ্যের চাকা ঘুরাতে উপজেলা পল্লী উন্নয়ন বোডের তত্ত্বাবধানে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি উপজেলা প্রশাসন সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানকে গুচ্ছগ্রামের উঠানে মাটি ভরাটের নির্দেশ দেন। সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান ভবতোষ ম-ল ইতোমধ্যে উঠানে মাটি ভরাটের কাজ শেষ করেছেন। এরমধ্যেই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামরুজ্জামান গুচ্ছগ্রামকে সবুজায়নে পরিণত করতে বিভিন্ন ধরনের বৃক্ষ রোপণ ও সবজি বাগান তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। তিনি গুচ্ছগ্রামে বসবাতরত প্রত্যেক পরিবারকে নিজ তত্ত্বাবধানে একটি করে নারিকেল গাছের চারা দিয়েছেন। এছাড়া বেসরকারি উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান বারসিক গুচ্ছগ্রামের একমাত্র পুকুরটি লোনা পানি থেকে মিষ্টি পানিতে পরিণত করতে বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ফলে পুকুরের পানি অনেকাংশে মিষ্টি পানিতে রূপান্তরিত হয়েছে। তাছাড়া সবুজ গুচ্ছগ্রাম তৈরিতে প্রতিষ্ঠানটি তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। প্রশাসন ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি নিজেদের বাড়ি গোছাতে গুচ্ছগ্রামে বসবাসরত নারী পুরুষ উভয়ের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন সবজি বাগান। তারা এখান থেকে উৎপাদিত সবজি থেকে কিছুটা হলেও পরিবারের পুষ্টির চাহিদা মেটাতে পারছে বলে জানা যায়। নিয়তির নির্মম পরিহাস যাদের উপর ভর করে বসেছিল, সেই সমস্ত মানুষ কিছুটা হলেও এখন আশার আলো দেখতে পাচ্ছে। পানখালি গুচ্ছগ্রাম বিষয়ে জানতে চাইলে সংশিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান ভবতোষ ম-ল বলেন, পানখালি গুচ্ছগ্রামের উন্নয়নে আমি বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তাছাড়া বালির কারণে তাদের প্রত্যহ জীবনে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেওয়ায় উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে বালির উপরে মাটি ভরাটের কাজ সম্পন্ন করেছি। গুচ্ছগ্রাম কমিটির সভাপতি সেকেন্দার হোসেন বলেন, বর্তমানে পানির কষ্ট আমাদের সমস্যার মধ্যে অন্যতম। এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্থক্ষেপ কামনা করেন তিনি। 6,559,426 total views, 1,448 views today |
|
|
|