ডেস্ক রিপোর্ট: সাতক্ষীরায় শিশু ধর্ষণ মামলা তুলে নিতে আসামি ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে বাদীকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। রোববার (১৯ আগস্ট) দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে সদর উপজেলার শরিফুল ইসলামের স্ত্রী মোছা. খাজিদা খাতুন এই অভিযোগ করেন।
লিখিত বক্তব্যে খাদিজা খাতুন বলেন, গত ১৩ জুলাই হাওয়ালখালী গ্রামের আলিউজ্জামান পপলুর ছেলে নিয়াজ ওরফে শরিফ ওরফে নাবিল আমার শিশু মেয়ে (৮) কে কৌশলে ডেকে পার্শ্ববর্তী পাট বাগানের ডিপ টিউবওয়েলের ঘরে নিয়ে যায়। নাবিলের সহযোগী সিরাজুল ইসলামের ছেলে উজ্জ্বল হোসেন (১৬), আনারুল ইসলামের ছেলে আল আমিন আগে থেকে সেখানে বসেছিলো। তারা ওই ঘরে ফেলে জোরপূর্বক আমার মেয়েকে ধর্ষণ করে। তাদের হাত থেকে কোন রকমে পালিয়ে বাড়িতে এসে মেয়ে আমাকে বিস্তারিত খুলে বলে। এ ঘটনায় আমি গত ১৪ জুলাই সাতক্ষীরা সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করি। এ মামলায় পুলিশ ওই তিন ধর্ষককে গ্রেফতার করে। তারা বর্তমানে যশোর জেলা কারাগারে রয়েছে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, মামলাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে এবং মামলা তুলে নেওয়ার জন্য ওই তিন আসামির পরিবারের লোক মৃত জয়নাল সরদারের ছেলে আবুল খায়ের ওরফে খালেক, আক্কাজ সরদারের ছেলে আনারুল ওরফে আনার, অলিউজ্জামান পপলুর স্ত্রী নুর জাহান ও রিজাউল ইসলাম বিভিন্নভাবে আমাকে হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে যাচ্ছে। এমনকি তারা আমার মেয়ের ধর্ষণের আলামত নষ্ট করে ঘটনাটি মিথ্যা প্রমাণিত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। গত কয়েকদিন আগে উল্লিখিতরা একত্রিত হয়ে আমার বাড়িতে প্রবেশ করে মামলা তুলে নিতে বলে। না হলে আমাকে মামলা করার সাদ মিটিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। এসময় তারা বাড়ি থেকে আমার মা ও মেয়ের ছবি তুলে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে তারা আমার মা ও মেয়ের ওই ছবি ব্যবহার করে মিথ্যা আপোষনামা তৈরি করে আমাদের উল্টো হয়রানির ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন বলে আমি আশংকা করছি। তিনি ওই ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও মামলা তুলে নিতে হুমকি প্রদর্শনকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
শিশু ধর্ষণ মামলা তুলে নিতে বাদীকে হুমকির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/