পাইকগাছা প্রতিনিধি: পাইকগাছায় মৃত্যুর পূর্বে বিএল কলেজ ছাত্রী গৃহবধূ সোনালী ১০ আগস্ট বিকাল ৪টা ৪৮ মিনিটে বড় আক্ষেপ করে তার কাকাতো ভাই মিঠুনকে মোবাইল চ্যাটের মাধ্যমে জানান, “আমি যা কিছু ভুল করেছি তা আর কি বলব, আপসোস করার জায়গা নেই। নিজের লাইফ নিজের হাতে শেষ করে দিলাম! মরতে পারলে বেঁচে যেতাম। আর যদি মরে যাই তাহলে শুধু রবিনই দায়ী থাকবে। তোকে বলে রাখছি ওকে জেলের ভাত খাওয়াবি!” এদিকে সোনালীর মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ তদন্তে নেমেছে। ঘটনার দিন পুলিশ সোনালীর স্বামী রবিন ও শ্বশুর বাবুলাল বিশ্বাসকে আটক করে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে বুধবার পাইকগাছা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করলে আদালত তাদেরকে জেলহাজতে পাঠিয়েছে। এদিকে পিত্রালয়ে ডুমুরিয়ার আইতলাতে সোনালীর শবদাহ দাফন সম্পন্ন হয়েছে বলে জানা গেছে।
এর আগেই সোনালীর বাবা অভিযোগ করেছেন, তার মেয়েকে মেরে ফেলে ঘরের আড়ায় ঝুলিয়ে রাখা হয়।
অন্যদিকে সোনালীর শ্বাশুড়ি সুমিত্রা ও বাবা বাবুলাল বলেন, মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বৌমা ঘরে বই পড়াকালে দরজা আগলে গলায় ওড়না দিয়ে আত্মহত্যা করে।
অন্য একটি সূত্র বলছে, পারিবারিক কলহে ও স্বামী রবিনের মানসিক পীড়নে সোনালী আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে।
এ ব্যাপারে ওসি আমিনুল ইসলাম বিপ্লব বলেন, এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করে সোনালীর স্বামী ও শ্বশুরকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, খুলনা বিএল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া অবস্থায় রবিন বিশ্বাস ও সোনালী দু’জনে প্রেম করে তিন বছর আগে রেজি. বিয়ে করে। সর্বশেষ দু’পরিবারের সম্মতিতে গত ৫ জুলাই তাদের মধ্য ধর্মীয় মতে বিয়ে হয়। বিয়ের দুই মাসের মধ্যে মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে বোয়ালিয়ার ব্রিজ সংলগ্ন মালোপাড়া স্বামীর বাড়িতে সোনালীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার হয়।
মৃত্যুর পূর্বে সোনালীর শেষ কথা তার মৃত্যুর জন্য স্বামী রবিনই দায়ী!
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/