মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি: মণিরামপুরে লাবনী দাস (২০) নামে কলেজপড়–য়া এক নববধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৯ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার নেহালপুর গ্রামে স্বামী পরেশ দাসের বাড়ি হতে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে নেহালপুর ফাঁড়ির পুলিশ সদস্যরা। লাশের বাম হাতে বেøডের কাটা দাগ রয়েছে। তার মুখের ভেতরে টিস্যু পেপার পাওয়া গেছে।
মাত্র ১৯ দিন আগে পারিবারের অমতে বিয়ে হয়েছিল মেয়েটির। স্বজনদের দাবি, লাবনীকে তার স্বামী পক্ষের লোকজন শ^াসরোধে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রেখেছে।
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার (১০ আগস্ট) সাতক্ষীরায় এক ছেলের সাথে লাবনীর বিয়ে ঠিক করে তার বাবা। বিয়ের আগের রাতে প্রেমিক পরেশ দাসের হাত ধরে পালিয়ে বিয়ে করে সে। পরেশ দাস নেহালপুরের গৌর দাসের ছেলে। সে যশোর সরকারি এমএম কলেজের মাস্টার্স (বাংলা) শেষ বর্ষের ছাত্র। আর লাবনী দাস একই গ্রামের স্বপন দাসের মেয়ে। সে মণিরামপুর কলেজের অনার্স (রাষ্ট্রবিজ্ঞান) দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। লাবনীর শ^শুর বাড়ির লোকজন জানান, রাতে খাবার খেয়ে ননদ চায়নাকে সাথে নিয়ে ঘরে ঘুমাতে যায় সে। এ সময় তার স্বামী বাড়িতে ছিলো না বলে দাবি লাবনীর শ^শুরের। সকালে ঘুম থেকে উঠে তারা লাবনীকে ঘরের ভিতর ঝুলতে দেখে পুলিশে খবর দেন। তবে, লাবনীর সাথে ঘুমাতে যাওয়া চায়না ঘটনার কিছুই জানে না বলে পুলিশকে জানিয়েছে।
লাবনীর মা লিপিকা দাস বলেন, শ^শুরবাড়ির লোকজন আমার মেয়েকে শ^াসরোধে হত্যা করে হাতের রগ কেটে ফেলেছে। এই ঘটনা চাপা দেওয়ার জন্য তারা লাশের গলায় ওড়না জড়িয়ে আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রেখেছে।
নেহালপুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই খাইরুল বাসার বলেন, এই ঘটনায় মেয়েটির বাবা থানায় অপমৃত্যু মামলা করেছেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক কলহের কারণে লাবনী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মণিরামপুরে নববধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার!
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/