বেনাপোল প্রতিনিধি: যশোরের নাভারণ হাইওয়ে পুলিশ যশোর-বেনাপোল ও নাভারণ-সাতক্ষীরা হাইওয়ে সড়কে বিশেষ অভিযান চালিয়ে তিন দিনে শতাধিক নছিমন-করিমন আটক করেছে। আটক যানবাহনের নামে মামলা দিয়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে পার্শ্ববর্তী ডোবায়।
শার্শা উপজেলার লাউতাড়া গ্রামের লিটন হোসেন ও গোগা দক্ষিণ পাড়ার মোহাম্মদ আলী জানান, আমাদের যানবাহনগুলো মহাসড়ক থেকে আটকে ময়লাযুক্ত পানিতে ফেলে দেয়া হয়েছে। এটা অন্যায়। এটা রীতিমত গরীবের পেটে লাথি মারা হয়েছে। তারা আরও বলেন, নছিমন, করিমন, আলম সাধু, ভটভডি যারা চালায়, তারা নিঃস্ব, গরীব ও অসহায়। আর অনেকের সংসার এর উপরেই নির্ভরশীল।
আলম সাধু চালক আব্দুল কাদের জানান, এনজিও থেকে লোন নিয়ে আমি গাড়ি কিনেছি। আমার গাড়ি আটকে রাখলে লোন পরিশোধ করা সম্ভব নয়। এনজিওর লোনের টাকার জন্য আত্মহত্যা করতে হবে।
বেনাপোলের রাসেদ তরফদার বলেন, আমার নছিমন চালিয়ে সংসার চলে। গভীর খাদের ময়লাযুক্ত পানিতে ফেলে দেওয়া হয়েছে। যে কারণে আমার নছিমন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এখন আমার বাল-বাচ্চার মুখের আহার বন্ধ।
এ বিষয়ে নাভারণ হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পলিটন মিয়া বলেন, উপর মহলের নির্দেশে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এগুলো আটকের পর তা পুকুরে বা বিলে অথবা জলাশয়ে ফেলে দিয়ে তার ছবি উঠিয়ে ডিআইজিকে দেখাতে হবে বলেও জানান তিনি। এছাড়া প্রায় শতাধিক যানবাহনের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছে।
নাভারণে শতাধিক নছিমন-করিমন আটক করে ফেলা হলো ডোবায়
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/