Site icon suprovatsatkhira.com

দেবহাটায় প্রেম করে বিয়ে, অতঃপর মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ

দেবহাটা প্রতিনিধি: প্রেম করে বিয়ে। অতঃপর পাল্টাপাল্টি অভিযোগ বর-কনে পরিবারের। শান্তিপূর্ণ সমাধান না করে উল্টো মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী মোরশেদের পিতা আব্দুল মালেক জানান, উপজেলার উত্তর কোমরপুর গ্রামের আবুল কাশেম খোকনের মেয়ে মারুফা খাতুনের সাথে আমার ছেলে মোরশেদ কলেজে একই ক্লাসে পড়তো। আমাদের অজান্তে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আমাদের পরিবারের কাউকে কিছু না জানিয়ে ২০১৭ সালের জুলাই মাসে মেয়ের পিতা-মাতা ও একজন সাক্ষীর সম্মুখে সাতক্ষীরা কাজী অফিসে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।
পরবর্তীতে গত ২০১৮ সালের ২৪ জুন সাতক্ষীরা জর্জ কোর্র্র্র্র্টের অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলাম মারুফার পক্ষে লিগ্যাল নোটিশ পাঠায়। পরে ২০১৮ সালের ১০ জুলাই আমরা এই অসম বিবাহ সম্পন্নের প্রতিকার চেয়ে পারুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদে একটি অভিযোগ দায়ের করি। পারুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান উভয়পক্ষকে সালিশি বৈঠকে ডাকে। ইউনিয়ন পরিষদে সালিশি বৈঠকে আমরা সিদ্ধান্ত মেনে নিলেও তারা না মেনে চলে যায়। লিগ্যাল নোটিশ প্রদানের পরে তারা দেবহাটা পারিবারিক আদালত, সাতক্ষীরায় ১৪/২০১৮ একটি মামলা দায়ের করে। একই সাথে বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, সাতক্ষীরায় অপর একটি মামলা দায়ের করে। এরপর থেকে আমাদেরকে মামলা দিয়ে নানাভাবে হয়রানি করে চলেছে।
মোরশেদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি মারুফাকে ভালবাসতাম। আমি ২০১৫ সালে ঢাকায় চলে যাই। ঢাকা থেকে ফিরলে মারুফা আমাকে সাতক্ষীরায় আসতে বলে। আমি তার কথা মতো সেখানে যাই। মারুফা আমাকে নিয়ে কাজী অফিসে যায়। সেখানে তার বাবা-মা ও এক বান্ধবী ছিল। পরে আমি ২ বছর আগে কাউকে না জানানোর কথায় রাজি হয়ে একলাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ের কাবিনে স্বাক্ষর করি। কিন্তু সে তার শর্ত ভঙ্গ করে আমাকেসহ পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেছে।
এ বিষয়ে মারুফা খাতুন বলেন, কলেজে পড়াকালীন সময়ে মোরশেদ আমাকে প্রেমের প্রস্তাব দিতো। দীর্ঘদিন পরে আমি রাজি হলে তার সাথে আমার সম্পর্ক হয়। আমার পারিবারিক অবস্থা ও আমার পূর্বের বিবাহের কথা জানা সত্তে¡ও সে আমাকে বিয়ে করতে রাজি হয়। বিয়ের পর আমাকে তার পরিবারের সদস্যদের কথা অনুযায়ী নির্যাতন করতে থাকে। আমি বিচারের জন্য সাতক্ষীরার বিজ্ঞ আদালতে মামলা করেছি।
এ ব্যাপারে পারুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি উভয়পক্ষকে বিষয়টি মিমাংসার জন্য ইউনিয়ন পরিষদে ডাকি। আমি ছেলে-মেয়ে ও তাদের পরিবার এবং বিয়ের সাক্ষীদের মতামত গ্রহণ করি। সমাধানের এক পর্যায়ে মারুফা ও তার সাথে থাকা উকিলের সহকারী পরিচয়দানকারী একজন অজ্ঞাত ব্যক্তি কক্ষের বাইরে যায়। কিছুক্ষণ পরে তারা ইচ্ছাকৃতভাবে শালিস বৈঠককে অবমাননা করে এবং ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। বিষয়টি বর্তমান আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২০১৭ সালের ০২ জুলাই খেজুর বাড়িয়া গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে মোরশেদ আলমের সাথে কোমরপুর গ্রামের আবুল কাশেমের কন্যা মারুফা খাতুনের বিয়ে সম্পন্ন হয়। সাতক্ষীরা পৌরসভার ৭ ও ৮নং ওয়ার্ডের নিকাহ রেজিস্টার ও কাজী শেখ সাইদুজ্জামান বিয়েটি সম্পন্ন করান।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version