Site icon suprovatsatkhira.com

ডুমুরিয়ায় খাদ্যে চেতনানাশক মিশিয়ে আশ্রমে চুরির চেষ্টা, পুরোহিতসহ ৪জন অসুস্থ

চুকনগর প্রতিনিধি: ডুমুরিয়ায় চেতনানাশক ওষুধ মিশ্রিত খাদ্য খেয়ে গুটুদিয়া সার্বজনীন মঠ আশ্রমের তিন পুরোহিত ও এক ভাস্কর গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাদেরকে উদ্ধার করে ডুমুরিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার (১৮ আগস্ট) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে এঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে আশ্রমের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বাদী হয়ে থানায় জিডি করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার সন্ধ্যার দিকে দর্শনার্থী হয়ে অজ্ঞাত পরিচয়ের তিন থেকে চারজন যুবক গুটুদিয়া মঠ আশ্রমে আসে। তারা আশ্রমের পুরোহিতদের সাথে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলে। তারা সুযোগ বুঝে আশ্রমের পুরোহিতদের রান্না তরকারিতে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে সাড়ে ৯টার দিকে আশ্রম ছেড়ে চলে যায়। পুরোহিতরা ঘুমে অচেতন হয়ে পড়লে রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে অজ্ঞান পার্টির ওই সদস্যরা মঠ আশ্রমের কালী মন্দিরে প্রবেশ করার চেষ্টা করে। মন্দিরে কষ্টিপাথরের (মূল্যবান) কালি মূর্তি রয়েছে। এছাড়া আনুমানিক চার ভরি ওজনের স্বর্ণালঙ্কার আছে কালী মূর্তির শরীরে। কিন্তু ঘটনার রাতে প্রতিবেশী অনিমা মন্ডল নামে এক গৃহবধূ ওই পুরোহিতদের সাথে বারান্দায় ঘুমিয়েছিল। সে গ্রিলে শব্দ শুনে সজাগ হয় এবং কে কে বলে চিৎকার দেয়। এতে অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে অনিমা দেখে সকল পুরোহিত অচেতন হয়ে পড়ে আছে। এই খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় শতশত মানুষ ওই রাতেই মঠ আশ্রমে ছুটে আসে। তখন গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় পুরহিত মৃত্যুঞ্জয় রায় (২৫), সাবিত্রি তরফদার (৭০), লতিকা বিশ্বাস (৫০) ও ভাস্কর চিত্তরঞ্জন মন্ডল (৩৮)কে উদ্ধার করে ডুমুরিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
থানা অফিসার ইনচার্জ মো. হাবিল হোসেন জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং থানায় জিডি করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।
এদিকে, হাসপাতালে গিয়ে অসুস্থদের খোঁজ খবর নেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খান আলী মুনসুর, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা. শাহনাজ বেগম, গুটুদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা সরোয়ার, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও যুবলীগের আহবায়ক প্রভাষক গোবিন্দ ঘোষ, ডুমুরিয়া প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এসএম জাহাঙ্গীর আলমসহ যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version