Site icon suprovatsatkhira.com

জমে উঠেছে পারুলিয়া গরুহাট

মীর খায়রুল আলম ও এমএ মামুন: পবিত্র ঈদ-উল-আযহাকে কেন্দ্র করে জমে উঠেছে দেবহাটার পারুলিয়া গরুহাট। সাপ্তাহিক হাট বার হিসেবে রোববার পারুলিয়া হাটে অন্যান্য দিনের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি গবাদি পশু ওঠে। হাটে কোরবানি যোগ্য গরু-ছাগল-মহিষ নিয়ে আসে জেলার বাইরের ব্যাপারীরাও।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, হাটের পরিবেশ ক্রেতা ও বিক্রেতা বান্ধব এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার থাকায় এ হাটের ঐতিহ্য রয়েছে। হাটে গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়াসহ বিভিন্ন ধরণের পশু বিক্রয় হয়। ‘পারুলিয়া গরুহাটা’ নাম হলেও হাটে হাঁস, মুরগি, কবুতরসহ ছোট-বড় সকল বয়সীদের পোশাক, জুতা, কসমেটিকস, ফলজ, বনজ ও ওষুধি বৃক্ষ, মাছ, মাংশ, সবজিসহ সাংসারিক সকল জিনিসপত্র পাওয়া যায়। সাপ্তাহিক এ হাটে ক্রয়-বিক্রয় করে হাজার হাজার মানুষ জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন।
আর কয়েকদিন পরেই পবিত্র ঈদ-উল-আযহা। যার আচ লেগেছে পারুলিয়া গরু হাটায়। কোরবানিযোগ্য পশু বেচা-কেনায় জমে উঠেছে এ হাট। রোববার পারুলিয়া হাটে অন্যান্য দিনের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি ব্যাপক সমাগম ঘটে। সকাল থেকেই দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজ আল আসাদ, দেবহাটা থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ মান্নান আলী, সেকেন্ড অফিসার ইয়ামিন আলীসহ পুলিশের বিশেষ টিম ও ও গ্রাম পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতিতে সাধারণ মানুষ নির্বিগ্নে হাটে কেনা-বেচা করেছেন।
হাট ঘুরে দেখা গেছে, ছোট ও মাঝারি আকারের গরুর চাহিদা বেশি। এবছর দাম গত বছরের তুলনায় কিছুটা বেশি। এতে সন্তুষ্ট খামারী ও গরু ব্যবসায়ীরা। টার্গেট অনুযায়ী মূল্য পাওয়ায় লোকসান গুণতে হচ্ছে না তাদের। একইভাবে সাধ ও সাধ্যের সমন্বয় ঘটিয়ে পশু কিনছেন ক্রেতারা। তাই বিক্রিতেও রয়েছে প্রতিযোগিতা।
তবে, এবার হাটে ভারতীয় পশু না ওঠায় স্বস্তিতে রয়েছেন বিক্রেতারা।
গরুর ব্যাপারীরা জানান, জেলার পশুরহাটগুলোতে এবার বিভিন্ন এলাকা থেকে দেশী পশু আসছে। তবে ভারত, নেপাল ও ভুটান থেকে গরু কম আসায় দাম কিছুটা বেশি। গত বছর যেখানে বাজারে মাংসের কেজি ছিল ৩৫০টাকা থেকে ৪০০টাকা। সেখানে এ বছর মাংসের কেজি ৪৫০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা। এই হিসেবে পশুর দাম গত বছরের তুলনায় কিছুটা বেশি। হাটে মহিষ ও ছাগলের আগমনও যথেষ্ট। এ হাটে গত কয়েকহাটের তুলনায় বিক্রিও বেশী।
হাটে গরুর দাম ২৫ হাজার টাকা থেকে শুরু করে দেড় লক্ষ টাকা হাকছেন বিক্রেতারা। তবে সর্বচ্চ ১ লাখ ৩৩ হাজার টাকার গরু ও ২০ হাজার টাকার ছাগল বিক্রি হতে দেখা গেছে। এছাড়া ২৫ হাজার থেকে ৪৫ হাজার টাকা দামের গরু বেশী বিক্রি হয়েছে। ৫৫-৬৫ হাজার টাকার মধ্যেও বেশকিছু গরু বিক্রি হয়েছে। খাসি ছাগলও বিক্রি হচ্ছে। দাম ৪ হাজার টাকা থেকে ৩০ হাজার টাকার মধ্যে। তবে ৬-৮ হাজার টাকা দামের ছাগল বেশী বিক্রি হচ্ছে।

অসংখ্য খামারী টার্গেট অনুযায়ী গরু বিক্রি করতে পেরে আনন্দে বাড়ি ফিরেছেন। হাটে যে দাম উঠছে তাতে অনেকটা স্বস্তি ফিরেছে খামারীদের মাঝে।
হাটের ইজারা গ্রহণকারী ও জেলা পরিষদের সদস্য আল ফেরদৌস আলফা জানান, ভারতীয় গরু না থাকায় দেশি গরুর সমাগম বেশি। তাছাড়া আমাদের পক্ষ থেকে যথেষ্ট নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাতে কোন প্রকার চুরি, ছিনতাই না ঘটে। ক্রেতা-বিক্রেতা সকলেই স্বস্তিতে কেনাকাটা করছেন।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version