ডেস্ক রিপোর্ট: চার দিনেও স্বামীর খোঁজ না পেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন শহরের উত্তর পলাশপোলের নুর ইসলামের স্ত্রী ফাতেমা খাতুন। রোববার (৮ আগস্ট) দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠকালে ফাতেমা খাতুন বলেন, আমার স্বামী নুর ইসলামকে আশরাফুল হক দোলন নামের এক চোরা চালানি মারপিট করে র্যাবের হাতে তুলে দিয়েছে। এখন বলছে তার কথায় ওর ক্রস ফায়ার মাফ হবে কিন্তু তার কাছে থাকা কিছু গোপন কথা বের করতে সাতদিন র্যাবের রিমান্ডে থাকতে হবে। তাকে কারেন্ট চার্জ দেওয়া হবে। তাকে আমার কথা মতো শনিবার সন্ধ্যায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তোমরা খুঁজে নিও।
তিনি আরো বলেন, দোলন একজন বখাটে ও ভবঘুরে। বৃহস্পতিবার সকালে সে ও তার কয়েক সহযোগী নেশাখোর পলাশ, মনি ও বেল্লাল নুর ইসলামকে তার ‘ফাতেমা স্টীল’ দোকান থেকে তুলে নিয়ে যায়। উত্তর পলাশপোলের ভাড়া বাড়িতে নিয়ে দরজা বন্ধ করে তাকে বেদম মারপিট করে দোলনরা। তার নাক মুখ বেয়ে রক্ত পড়তে থাকে। খবর পেয়ে তাকে ছাড়াতে যাই। কিন্তু না ছেড়ে দোলন তাকে র্যাবের হাতে তুলে দেয় ওইদিন দুপুরে। তিনি বলেন, এরপর থেকে তার খোঁজ মিলছে না। দোলনের কাছে জানতে গেলে সে এক এক সময় এক এক রকম কথা বলছে। বলছে ‘আমার কথা মতো র্যাব কাজ করবে। কারন নুর ইসলাম ফোন করে র্যাব এনে আগের দিন আমার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল। অথচ আমার বাড়িতে কিছুই পাইনি। তল্লাশির সময় মোবাইলে রেকর্ড করা একটি কন্ঠস্বর শোনানো হয়। এই কন্ঠস্বর নাকি নুর ইসলামের এই দাবি করে মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগে র্যাব নুর ইসলামকে আটক করেছে বলে জানায় দোলন।
ফাতেমা খাতুন বলেন দেশের প্রচলিত আইনে আমার স্বামী কোনো দোষ করে থাকলে তাকে জেলে পাঠান। তার বিচার হোক। কিন্তু তাই বলে তাকে অজ্ঞাতস্থানে আটকে রাখা হবে তা হতে পারে না। তার শোকে আমার শ্বাশুড়ি ও মা এখন পাগলপ্রায়। আমি খুলনায় র্যাবের সাথে কথা বলেছি। তারা এ বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন। বখাটে দোলন এখন ভয়ভীতি সৃষ্টি করে বলছে, আমি নুর ইসলামকে ক্রস ফায়ার থেকে বাঁচিয়ে দিলাম। তবে ওর মুখ থেকে আমার শত্রুর নাম বের না হওয়া পর্যন্ত সে আটক থাকবে। এখন তার ছোট ভাই সোনাকে আটক করতে হবে। তাকেও তুলে দেব র্যাবের কাছে।
তিনি স্বামীর সন্ধান চেয়ে সাতক্ষীরা থানায় একটি জিডি করেছেন। তিনি তার স্বামীকে সুস্থ অবস্থায় ফেরত চেয়ে র্যাব ও সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন নুর ইসলামের বোন মুন্নি আরা খাতুন, মা নুরজাহান বেগম, শাশুড়ি রিজিয়া খাতুন ও ভাই রেজাউল ইসলাম।
চার দিনেও স্বামীর খোঁজ না পেয়ে স্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/