শ্যামনগর প্রতিনিধি: জেলেদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নিয়ে পাশ পারমিট প্রদান ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠেছে সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের কৈখালী স্টেশনের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। যারা টাকা দিতে অপারগতা জানাচ্ছে তাদের জন্য বরাদ্দ ‘ভোাগান্তি ও দুর্ব্যবহার’। জেলেদের দাবি, ঘুষ বাণিজ্যের বিষয়টি বন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও সুরাহা মিলছে না।
একাধিক জেলে জানান, বিএলসি নবায়নে সরকারি নিয়মানুযায়ী প্রতি ১০ কুইন্টালে পাঁচ টাকা নেওয়ার নিয়ম থাকলেও সেখানে নেওয়া হচ্ছে ৯০০ থেকে বার ১০০০ টাকা। এছাড়া মাছ ও কাঁকড়ার পাশ পারমিটে ১০ কুইন্টলে ৩.৭৫ পয়সা নেওয়ার কথা থাকলেও সেখানে নেওয়া হচ্ছে ৯০০ তেকে ১০০০ টাকা। এসব অতিরিক্ত টাকা খোদ স্টেশন কর্মকর্তা মিঠু তালুকদার নিচ্ছেন বলে অভিযোগ জেলেদের।
শেখ আব্দুল কুদ্দুস নামে একজন জেলে বলেন, মাছ অথবা কাঁকড়ার পাশ নিতে অতিরিক্ত টাকা দেওয়ার কারণে লোকসান গুণতে হয়। তাই কয়েকদিন যাবৎ আর বনে যাচ্ছি না।
এ বিষয়ে কৈখালী স্টেশন কর্মকর্তা মিঠু তালুকদার বলেন, আমি কারো কাছ থেকে অবৈধ টাকা নেইনি। যদি কেউ বলে থাকে তাহলে সেটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। বিএলসি রেটের বিষয়ে তিনি বলেন, প্রতি ১০ কুইন্টাল এ পাঁচ টাকা সরকারি মূল্য নির্ধারিত হয়েছে। এই টাকা বাদে অন্য কোনো টাকা কারো কাছ থেকে নেওয়া হয় না।
ঘুষ না দিলে পাশ পারমিট জোটে না জেলেদের কপালে
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/