আল ইমরান: তখন রাত ১২টা ছুই ছুই। গ্রামের অধিকাংশ মানুষ ঘুমে মত্ত। প্রকৃতিতে শুধু ঝিঁ ঝিঁ পোকার ডাক শোনা যাচ্ছে। ঠিক এমন সময় সাতক্ষীরা-৪ আসনের সংসদ সদস্য এস এম জগলুল হায়দারের মুঠোফোনে একটি কল আসে। কল রিসিভ করতেই অপর প্রান্ত থেকে এমপি জগলুল হায়দারকে বলেন, ভাই আমি হিতৈষী রক্তদান সংস্থার পরিচালক দীনেশ মণ্ডল বলছি। খুব বিপদে পড়ে এত রাতে আপনাকে স্মরণ করেছি। শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত এক শিশুর জন্যজ জরুরি রক্তের প্রয়োজন। কিন্তু কোনভাবেই রক্তের ব্যবস্থা করতে পারছি না। আপনি যদি কাউকে বলে দিতেন।”
উত্তরে এমপি দীনেশের কাছে রক্তের গ্রুপ জানতে চান। উত্তর আসে রক্তের গ্রুপ ও পজেটিভ। এমপি বলেন, এত রাতে সবাই তো যার যার বাড়িতে ঘুমে মগ্ন। তবে আমার নিজের রক্তের গ্রুপ ও পজেটিভ। আমি আসছি, আমি নিজে রক্ত দেব।
এরপর ফোন রেখে দ্রুত বাড়ি থেকে বের হয়ে নিজে মোটরসাইকেল চালিয়ে হিতৈষী রক্তদান সংস্থায় আসেন এবং রক্ত দেন তিনি।
এ ব্যাপারে হিতৈষী রক্তদান সংস্থার পরিচালক দীনেশ মণ্ডল বলেন, কালিগঞ্জ উপজেলার নিজদেবপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক গাজীর মেয়ে মরিয়ম (৫) কে প্রতিমাসেই রক্ত দিতে হয়। এ মাসে সময়মত রক্ত দিতে না পারায় শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাই বাধ্য হয়ে গভীর রাতে এমপি মহোদয়ের দ্বারস্থ হয়েছিলাম। কিন্তু তিনি নিজেই রক্ত দেবেন ভাবতে পারেনি। সমাজের জন্য এটা দৃষ্টান্ত।