সমীর রায়: আশাশুনিতে থানাঘাটায় খোলপেটুয়া নদীর ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন। মঙ্গলবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে ভাঙন এলাকা ও ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন জেলাপ্রশাসক ইফতেখার হোসেন। ভেঙে যাওয়া বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি ওঠানামা করায় ১০টি গ্রাম এখনো পানিবন্দী রয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা সাকিলের নেতৃত্বে শতশত মানুষ রিং বাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানি আটকানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে। জেলা প্রশাসককে কাছে পেয়ে দ্বিগুণ উৎসাহে ভাটার সময় বাঁশ ও মাটির বস্তা নিয়ে কাজে নেমে পড়ে এলাকাবাসী। সরকারি হিসেব মতে নয় গ্রামের প্রায় সাড়ে ৪’শ পরিবার সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পানিবন্দী হয়ে আছে থানাঘাটা, হাজরাখালী, বকচর, বিলবকচর, হাজরাখালী, মাড়িয়ালা, ঢালিরচক, বুড়াখারআটি, দক্ষিণ পুইজালা ও মহিষকুড় গ্রাম। মাড়িয়ালা মাধ্যমিক বহুমুখী ঘুর্নিঝড় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে প্রায় ২০টি পরিবার। তাদের ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে শুকনা খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। শতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ী ভেঙেছে এবং পানিবন্দী মানুষ খাবার পানি সংকটে ভুগছেন বলে স্থানীয়রা জানান।