Site icon suprovatsatkhira.com

খানা-খন্দে ভরা কলবাড়ি-নীলডুমুর সড়ক, আগ্রহ হারাচ্ছে পর্যটকরা

বুড়িগোয়ালিনী প্রতিনিধি: শ্যামনগরের কলবাড়ি-নীলডুমুর সড়কে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই গর্তগুলো পানিতে ভরে নালায় রূপান্তর হচ্ছে। পর্যটন ও বাণিজ্যিক এলাকা হলেও এ সড়ক নিয়ে যেন কারো মাথা ব্যথা নেই। এলাকাবাসীর দাবি, দ্রæত সড়কটি সংস্কার করে সাধারণ মানুষের চলাচলসহ ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করা হোক।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে ইট খোয়া পিচ উঠে গিয়ে কলবাড়ি-নীলডুমুর সড়ক খানা-খন্দে পরিণত হয়েছে। সড়কটি যে পিচের তৈরি তা বোঝার উপায় নেই। এ সড়কের নিউ যমুনা হ্যাচারির সামনে, খাজা হ্যাচারি, জলিলের মোড়, নজরুল গাজীর বাড়ির সামনে, মোড়লবাড়ির ঈদগাহের সামনের অবস্থা ভয়াবহ। সড়কের মাঝে মাঝে কোথাও পাঁচ ইঞ্চি, কোথাও দশ ইঞ্চি, আবার কোথাও হাটু ছুঁই ছুঁই পানি। এ যেন এক নালা। রসিকতা করে কেউ কেউ এই সড়ককে নদী বা খালও বলছেন। তবে এ নদীতে নৌকা চলে না, চলে পুলিশ, বিজিবি-র‌্যাব-বন বিভাগের গাড়ি, ট্রাক-ট্রাংকলরী, ইজিবাইক, সিএনজি, ভ্যান-মটর বাইকসহ নানা যানবাহন। ফলে সড়কে প্রতিনিয়ত ছোট খাটো দুর্ঘটনা ঘটছে।
এলাকাবাসী জানায়, সুন্দরবন ভ্রমণে আসা পর্যটকরা নীলডুমুর থেকে পাশ নিয়ে সুন্দরবনে প্রবেশ করে। এছাড়া নৌ পুলিশ, কোস্টগার্ড, বন বিভাগসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন অফিস ও রপ্তানিযোগ্য চিংড়ি এবং কাকড়ার হ্যাচারি রয়েছে সড়কের দু’পাশ দিয়ে। কিন্তু সড়কের অবস্থা এতোই খারাপ যে এই পথ দিয়ে সুন্দরবন ভ্রমণে যাওয়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে পর্যটকরা। চলাচলের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী আর চাকরিজীবীরা পড়ছে চরম বিপাকে। যেন অচল হওয়ার পথে জনজীবন।
বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ভবতোষ কুমার মÐল জানান, আমি মাসিক মিটিংয়ে বিষয়টা উপস্থাপন করেছি এবং উপজেলা, জেলা পর্যায়ে কথা বলেছি খুব তাড়াতাড়ি কাজ হবে।
শ্যামনগর উপজেলা প্রকৌশলী চৌধুরী মো. আসিফ রেজা জানান, কলবাড়ি টু নীলডুমুরের সড়কটির দৈর্ঘ্য সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার। ইতোমধ্যে নীলডুমুর থেকে দাতিনাখালী সাইক্লোন সেল্টার পর্যন্ত রিপিয়ারিং করেছি। দাতিনাখালী থেকে কলবাড়ী পর্যন্ত বাকি সাড়ে তিন কিলোমিটার সড়ক অনেকাংশে গর্তে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে শিল্প-কারখানার ভারী জিনিস বহনের কারণে বেশি ভাঙছে। আমাদের পর্যাপ্ত ফান্ড আছে। কোন সমস্যা হবে না। আগামী নভেম্বর-ডিসেম্বরেই আমরা কাজের ইস্টিমেট করে বাজেট প্রণয়ন করে রাস্তার কাজে হাত দেবো।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version