সমীর রায়, আশাশুনি: এলাকাবাসীর পাঁচদিনের প্রচেষ্টায় অবশেষে আশাশুনির থানাঘাটায় খোলপেটুয়া নদীর ভেঙে যাওয়া বাঁধ সংস্কার করা সম্ভব হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ আগস্ট) দুপুরের জোয়ারের আগেই ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা সাকিলের নেতৃত্বে গ্রামের শতশত মানুষ ভেঙে যাওয়া বেড়িবাঁধটি রিংবাঁধ দিয়ে প্রাথমিকভাবে আটকে দেয়।
শ্রীউলা ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা সাকিল জানান, রবিবার দুপুরে বাঁধটি ভেঙে যাওয়ার পর ওই দিন বিকাল থেকে স্থানীয় লোকজন নিয়ে কাজ শুরু করে পাঁচ দিনের অক্লান্ত পরিশ্রমে বৃহস্পতিবার দুপুরে তৃতীয় বারের চেষ্টায় বাঁধটি সংস্কার করে পানি আটকানো গেছে। বাঁধটি টিকিয়ে রাখতে রাতের জন্য ৫০ জন শ্রমিক রাখা হয়েছে। যারা সারারাত জেগে ছোটখাটো কাজ করে যাবে। শুক্রবার (১৮ আগস্ট) সকালে আবার লোকজন দিয়ে পরিপূর্ণভাবে বাঁধটি সংস্কার হবে।
বাঁধটি সংস্কার করতে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে বলে জানান এ ইউপি চেয়ারম্যান। তিনি আরো জানান, সরকারি বা পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে কোন টাকা পাওয়া যায়নি। ঊর্ধ্বতন অনেক কর্মকর্তা ও নেতৃবৃন্দ পরিদর্শনে এলেও নগদ কোন বরাদ্দ না পেয়ে নিজের টাকায় হাজার হাজার বাঁশ, বস্তা, পেরেক ও প্রতিদিন (দিন-রাত) ২’শ শ্রমিক নিয়ে পাঁচ দিন ধরে নিজে উপস্থিত থেকে কাজ করে গেছি।
ইউনিয়নের প্রায় ১৬ কিলোমিটার কাঁচা-পাকা রাস্তা পানির স্রোতে তলিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে। পাঁচ শতাধিক কাঁচা ঘর ইতোমধ্যে ধ্বসে গেছে। বকচর, থানাঘাটা এবং পুইজালার চারটি মসজিদ ও থানাঘাটা, বিলবকচর, পুইজালা, লক্ষীখোলা কালীমন্দির, ঢালীরচক দুর্গামন্দিরসহ আরো অনেক মন্দির ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সাইক্লোন শেল্টারে থাকা লোকজন এখনো তাদের বাড়ি ফিরতে পারেনি। মেরামত করা নতুন বাঁধটি টিকে গেলে এলাকার পানি কমতে আরো দুই-তিন দিন সময় লাগবে।
এসময় শ্রীউলা ইউপি চেয়ারম্যান বাঁধটি মেরামতে আপ্রাণ কাজ করার জন্য পরিষদের মেম্বর, স্থানীয় জনগণ, পার্শ্ববর্তী আশাশুনি ইউনিয়নের বলাবাড়িয়া, খাসেরাবাদ, হাড়িভাঙ্গা, হাঁসখালী, প্রতাপনগর ইউনিয়নের কোলা গ্রামের লোকজনকে ধন্যবাদ জানান। এছাড়া শ্রীউলা ইউনিয়নের ভুক্তভোগী জনগনের পক্ষে বাঁধটির স্থায়ী সমাধান করতে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এলাকাবাসীর প্রচেষ্টায় অবশেষে খোলপেটুয়া নদীর বাঁধ সংস্কার
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/