মনজুরুল হাসান, খেশরা: মৎস্য চাষে আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার করে সফল হয়েছেন তালা উপজেলার খলিষখালী ইউনিয়নের মাছ চাষীরা। প্রায় দুইশ পরিবারের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটেছে উন্নত প্রযুক্তিতে মাছ চাষে করে। আধুনিক যন্ত্রপাতি ও বিভিন্ন উপকরণ ব্যবহার করে মাছচাষীরা বাড়িতেই তৈরি করছেন উন্নত মানের খাবার, ঘেরে বা পুকুরে ব্যবহার করছেন বায়োসিকিইরিটি নেট, মাছের রোগ-প্রতিরোধে প্রয়োগ করছেন প্রবায়োটিকসসহ আরো অনেক পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উন্নত পদ্ধতিতে কার্প-গলদা মিশ্রচাষ ও বাজারজাতকরণের মাধ্যমে সফলতা অর্জন করেছেন ইউনিয়নের বারানগর গ্রামের শিবানী চক্রবতী, ধুকুড়িয়া গ্রামের শিতল ব্যানার্জীসহ আরা অনেকে। আধুনিক প্রযুক্তি বিষয়ক প্রশিক্ষণ, গুণগত মানসম্মত মাছের পোনা ও রেণু সংগ্রহ, প্রোটিন ও আমিষসমৃদ্ধ খাবার সরবারহ এবং নিয়মিত মাটি ও পানি পরীক্ষা নিশ্চিত করে উল্লেখযোগ্য হারে মাছের ফলন পেয়ে সফল হয়েছেন এসব মাছ চাষীরা। তাদের এ কাজে কারিগরি সহায়তা করছে সাতক্ষীরা উন্নয়ন সংস্থা (সাস)।
সফল মাছচাষী শিবানী জানান, পরিবারের আয়ের উৎস হিসেবে ১৫ বছর ধরে মাছ চাষ করছেন কিন্তু ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটাতে পারেন নি তিনি। কিন্তু ২০১৭ সালের এপ্রিলের শেষের দিকে সম্পূর্ণ নতুন আঙ্গিকে কার্প-গলদা মিশ্রচাষ এবং ঘেরের পাড়ে সবজি চাষ শুরু করেন তিনি। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে মাছ ও সবজি চাষ করে তার চৌদ্দ বিঘা জমিতে প্রায় দু’লক্ষ টাকা লাভ হয়েছে। তার বিঘা প্রতি খরচ হয়েছে ১২-১৫ হাজার টাকা। সারা বছর তার ঘেরের মাছ ও সবজি বিক্রি হয়েছে। সবকিঠু ঠিক থাকলে এবছরও আশানুরূপ লাভবান হবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি। একই সাথে এ কাজের স্বীকৃতি সরূপ তালা উপজেলার সেরা গলদা চাষীর সম্মাননাও পেয়েছেন তিনি।
আরো একজন সফল মাছচাষী শিতল ব্যানার্জী জানান, কার্প-গলদা মিশ্রচাষ এবং ঘেরের পাড়ে সবজি চাষ তিনি লাভবান হয়েছেন। বিশেষ করে গুণগত মানসম্মত মাছের পোনা ও রেণু সংগ্রহ, প্রোটিন ও আমিষসমৃদ্ধ খাবার তৈরি এবং নিয়মিত মাটি ও পানি পরীক্ষা, মাছের স্বাস্থ্য পরীক্ষা, রোগ-প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা এবং বিভিন্ন প্রযুক্তির ব্যবহার করে মাছ ও সবজির স্বাভাবিক বৃদ্ধিতে তারা নিজেরাই কাজ করছেন।
আধুনিক পদ্ধতিতে মৎস্য চাষে সফল খলিষখালীর চাষীরা, ঘুরেছে ভাগ্যের চাকা
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/