মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি: অর্থাভাবে মণিরাপুরের রাজপথ কাঁপানো সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আব্দুর রবের চিকিৎসা বন্ধ হয়ে গেছে। বছরখানেক আগে তার পায়ে ফোসকা পড়ে। পরে ডায়াবেটিসের কারণে তা না সেরে বাড়তে থাকে। এক পর্যায়ে তার ডান পা কেটে ফেলা হয়। রব উপজেলার ভোজগাতি ইউনিয়নের কর্ন্দপপুর গ্রামের আব্দুস সাত্তার গাজীর ছেলে। নিজের শেষ সম্বল বিক্রিসহ আত্মীয়-স্বজনের কাছ থেকে ধার-দেনা করে গত এক বছর চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। বর্তমানে অর্থাভাবে চিকিৎসা করতে না পেরে বাড়িতে বিছানায় শুয়ে পায়ের যন্ত্রণায় ছটফট করছেন তিনি। মণিরামপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তারেক মির্জা জানান, রব ১৯৯৪ সালে কলেজ ছাত্রলীগের আহবায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। এরপর উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদকসহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। রব স্কুল জীবন থেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। এরশাদ পতন আন্দোলন, খালেদা জিয়ার শাসনামলে সকল কর্মসূচির অগ্রভাগে থাকতেন।
আব্দুর রব বলেন, বছরখানেক আগে তার পায়ে ফোসকা পড়ে। সেখান থেকে ঘা এবং পরে পচন ধরে। তার ডায়াবেটিস থাকায় পচন দ্রæত ছড়িয়ে পড়ে। এরমধ্যে বিভিন্ন চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নেন তিনি। কিন্তু শত চেষ্টার পরও তার পা রাখতে পারেননি চিকিৎসকরা। অস্ত্রোপচার করে ডান পায়ের গোড়ালি পর্যন্ত কেটে ফেলতে হয়েছে। এরমধ্যে নিজের সহায়সম্বল বিক্রিসহ আত্মীয়-স্বজনদের কাছ থেকে ধার দেনা করে চিকিৎসা করিয়েছেন। তিনি যশোরের একটি বে-সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। কিন্ত চিকিৎসার ব্যয়ভার মেটাতে না পেরে অর্থাভাবে গত বুধবার হাসপাতাল ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। বর্তমানে বাড়িতে বিছানায় পায়ের যন্ত্রণায় ছটফট করছেন ছাত্রলীগের এই সাবেক নেতা। তার রাজনৈতিকদলের সহকর্মীসহ সমাজে বিত্তবানদের সহযোগিতার কামনা করেছেন। কেউ সহযোগিতার হাত বাড়াতে চাইলে তার ব্যবহৃত মুঠোফোনের ( বিকাশ) ০১৯১২৯৭৯১১৮ নম্বরে যোগাযোগ করার আকুতি জানিয়েছেন তিনি।
অর্থাভাবে বন্ধ হয়ে গেছে মণিরাপুরের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আব্দুর রবের চিকিৎসা
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/