জুলাই ১৮, ২০১৮
আশাশুনিতে মাছ লুটের প্রতিকার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন
আশাশুনি প্রতিনিধি: আশাশুনিতে মাছের ঘেরের বাঁধ ও নেটপাটা কেটে মাছ লুটের প্রতিকারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মহিষাডাঙ্গা গ্রামের মৃত বিনোদ বিহারী বিশ্বাসের ছেলে সুশীল কুমার বিশ^াস। মঙ্গলবার (১৭ জুলাই) বিকালে আশাশুনি প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, তিনি ১৯৫৮ সালে মৃত বানীকান্ত সরকারের ছেলে গয়ারাম ও বিপিন বিহারীর নিকট থেকে ধুলিহর মৌজায় সাবেক ১০৯১/১৪ নং খতিয়ানে এবং হাল ১০৩৬৩ নং খতিয়ানে সাবেক ১৭২৯২ ও হাল ১৬৩৮৯ নং দাগে ১.৫২ একর জমি কিনে অদ্যাবধি ভোগদখল করে আসছেন। জমির এসএ রেকর্ড ও মাঠপর্চা তার নামে হয়েছে। কিন্তু প্রিন্ট পর্চায় বিক্রেতা যোগসাজশ করে ৪৬ শতক জমি ক্রেতার নামে রেখে বাকী জমি বিক্রেতা গয়ারাম দিং এর নামে করিয়ে নিয়েছেন। সেই তঞ্চকীপূর্ণ প্রিন্ট পর্চা দেখিয়ে গয়ারাম বকেয়া ১.০৬ শতক জমি ফিরে পেতে থানায় অভিযোগ করেন। অভিযোগের তদন্ত চলাকালে তারা আশাশুনি পূজা উদযাপন পরিষদের সেক্রেটারি রনজিৎ কুমার বৈদ্যর স্মরণাপন্ন হয়। রনজিৎ বৈদ্য ছল-চাতুরি করে আপোষ মীমাংসার প্রস্তাব করেন। শুক্রবার (১৩ জুলাই) দুপুরে তিনি কয়েকজনকে সাথে নিয়ে বাদী গয়ারামের বাড়িতে খাওয়া দাওয়া করেন। এরপর বিবাদী পক্ষকে না ডেকে তাদেরকে একতরফা ভাবে ঐ জমি দখলের পরামর্শ দিয়ে চলে আসেন। তার কথাতেই পরদিন শনিবার (১৪ জুলাই) ভোর ৫টার দিকে জমি বিক্রেতা গয়ারামের ছেলে বিজন, বিজনের ছেলে মুরারী ও জয়, তাদের সহযোগী অরবিন্দু ম-ল, পঞ্চানন, নিতাই, সত্যসহ আরো অনেকে আমার ষাট বছরের দখলীকৃত মৎস্য ঘেরে অনাধিকার প্রবেশ করে। তারা ঘেরের বাঁধ ও নেটপাটা কেটে গয়ারামের ঘেরের সাথে একাকার করে দিয়ে ঘেরের অনুমান এক লক্ষ টাকার মাছের ক্ষয়ক্ষতি ও লুট করেছে। এ ব্যাপারে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি। এসময় উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রভাষক হিরুলাল বিশ্বাসসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। 8,770,185 total views, 1,908 views today |
|
|
|