কেশবপুব প্রতিনিধি: কেশবপুরে আদালত থেকে মামলা তুলে নিতে রাজি না হওয়ায় ত্রিমোহিনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবারও এক কৃষককে পিটিয়ে হাত ও পা ভেঙে দিয়েছেন। বর্তমানে ওই কৃষক কেশবপুর হাসাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সোমবার (২৩ জুলাই) রাতে উপজেলার ত্রিমোহনী বাজারে এ ঘটনা ঘটে। আহত কৃষক মতিয়ার রহমান উপজেলার বরনডালি গ্রামের মৃত ঝড়– সরদারের ছেলে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মতিয়ার রহমান অভিযোগ করে বলেন, ২০১২ সালে তিনি একই গ্রামের ইসলাম মোল্যার ছেলে রাসেলের নামে যশোর বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি অপহরণ মামলা করেন। বর্তমান মামলাটি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান রাসেলের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে গত একমাস ধরে তাকে আদালত থেকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে আসছিল। এতে রাজি না হওয়ায় ওই চেয়ারম্যান গত সোমবার রাত ৯টার দিকে মোবাইল ফোনে তাকে ত্রিমোহিনী বাজারে আসতে বলেন। এ সময় চেয়ারম্যান ও তাঁর সন্ত্রাসী বাহিনী তাকে জোর পূর্বক চেয়ারম্যানের টর্চার সেলে নিয়ে দরজার হাক দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। হাকের আঘাতে হাত, পা ও হাত-পায়ের চারটি আঙ্গুল ভেঙে গেছে। এরপরও আমাকে চিকিৎসা না নিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করার হুমকি দেয়া হচ্ছে। কোথাও মামলা করলে জীবননাশের হুমকি দেয়া হচ্ছে।
চাঁদড়া গ্রামের মেম্বার জুয়েল জানান, ২০১৭ সালে ওই চেয়ারম্যানের টর্চারসেলে মারপিটের শিকার হন সাহাপুর গ্রামের সোবহান আলী। সাড়ে তিন লাখ টাকা খরচ করে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে এখনও তিনি সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারেন না। ওই বছরের ৩জুন চেয়ারম্যান আনিছ মোটর সাইকেলের চাবি দিয়ে খুচিয়ে রক্তাক্ত জখম করেন সাতবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের তহশীলদার বিষ্ণুপদ গাইনকে। চেয়ারম্যান ত্রিমোহিনী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্মআহবায়ক হওয়ায় তাঁর ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না।
এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান আনিছুর রহমানের মোবাইল ফোনে একাধিক বার যোগযোগ করেও তাঁর মোবাইল বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
প্রসঙ্গত, চেয়ারম্যান এর আগেও সরকারি কর্মকর্তাসহ তিনজনকে মেরে গুরুতর জখম করেন। এসব ঘটনায় কোন মামলা না হওয়ায় তিনি বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন।
কেশবপুরে মামলা না তোলায় কৃষকের হাত-পা ভেঙে দিলেন ইউপি চেয়ারম্যান
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/