Site icon suprovatsatkhira.com

আমাকে বলা হতো মুজিববাদী গুণ্ডা

সাতক্ষীরা-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। প্রাণ নাথ বহুমুখি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস নাইনে অধ্যয়নকালে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। ছিলেন মহাকুমা ছাত্রলীগের সদস্য। ১৯৭৩-৭৪ সালে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন। তিনিই বাংলাদেশের প্রথম নির্বাচিত ভিপি। বর্তমানে সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরা-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে কাজ করছেন জনগণের জন্য। ‘ ব্যক্তিগত জীবন, সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর চার বছরে সাতক্ষীরার উন্নয়ন ও আগামী নির্বাচন’ নিয়ে কথা বলেছেন সুপ্রভাত সাতক্ষীরা’র সাথে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন- এসএম নাহিদ হাসান, ফাহাদ হোসেন ও নুরুল হুদা

সুপ্রভাত সাতক্ষীরা: কেমন আছেন?
মীর মোস্তাক আহমেদ রবি: আলহামদুলিল্লাহ ভাল আছি।

সুপ্রভাত সাতক্ষীরা: আপনার শিক্ষাজীবন সম্পর্কে জানতে চাই-
মীর মোস্তাক আহমেদ রবি: আমি শহরের ঐতিহ্যবাহী সরকারি সিলভার জুবলি মডেল স্কুলের ছাত্র। প্রাথমিক শিক্ষা সেখানেই। পরে প্রাণ নাথ বহুমুখি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে (পিএন স্কুল) ভর্তি হই। স্কাউট লিডার ছিলাম, ডিভিশন লিডার (৬৮-৬৯)। ক্লাস নাইন থেকে স্কুল ক্যাপ্টেন ও শপথ বাক্য পাঠ করাতাম। মাধ্যমিক পেরিয়ে উচ্চ মাধ্যমিকে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজে ভর্তি হই। অনার্স ২য় বর্ষ পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং রাজনৈতিক কারণে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজে এসে  স্নাতক কম্পিলিট হয়। ১৯৭৩-৭৪ সালে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হই। বাংলাদেশে প্রথম নির্বাচিত ভিপি ছিলাম আমি।

সুপ্রভাত সাতক্ষীরা: ছোটবেলার স্মৃতি কী কী মনে পড়ে?
মীর মোস্তাক আহমেদ রবি: আমার ছেলেবেলার স্মরণীয় স্মৃতি বলতে পৌনে পাঁচ বছর বয়সে স্কুলে ভর্তি হওয়া উপলক্ষ্যে আম্মা ক্ষীর রান্না করেছিলেন। সেই ক্ষীরের হাড়িতে পড়ে আমার সারা শরীর পুড়ে যায়। এতে আম্মা পাগলের মত হয়ে যায়। যে যেখান থেকে পেরেছে ডিম ও কালি শরীরে দিয়েছিল। গোলম নবি চাচা মাকে বলেছিলেন ছেলেটাকে হাতে করে মেরে ফেলবি? অলৌকিকভাবে এক বুড়িমা এসে মাথায় মাটি পড়ে দিয়েছিলেন। সবকিছু নরমাল হয়ে গিয়েছিল। ১৯৫৮ সালের ঘটনা এটি। শরীরে বড় ফোসকা পড়েছিল, যা পরে ধীরে ধীরে ঠিক হয়ে গিয়েছিল। এর জন্য দেড় বছর বিছানায় ছিলাম।

সুপ্রভাত সাতক্ষীরা: ছাত্র রাজনীতিতে আপনার হাতে খড়ি হয় কীভাবে?
মীর মোস্তাক আহমেদ রবি: প্রাণ নাথ বহুমুখি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস নাইন থেকে ছাত্র রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ি। তখন মহাকুমা ছাত্রলীগের সদস্য ছিলাম।

সুপ্রভাত সাতক্ষীরা: আপনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। জীবনবাজি রেখে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন, সেসময়কার কথা কিছু বলুন-
মীর মোস্তাক আহমেদ রবি: ১৯৭০ সালে বঙ্গবন্ধুর ডাকে আমরা আন্দোলনের প্রস্তুতি নিয়ে থাকি। বাংলাদেশে প্রথম সাতক্ষীরাতে পশ্চিম পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে শ্লোগান তৈরি করে পোস্টার করা হয়। পোস্টারগুলো সারা শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে সাটানো হতো। ‘অস্ত্র ধর, দেশ স্বাধীন কর’ এই শ্লোগান তৈরি করেছিলেন গোলাম সবদার সিদ্দিকী (বাবু ভাই)। জাতির জনক যুদ্ধের ডাক দিলে ভোমরাতে আমার নেতৃত্বে প্রথম মুক্তিযুদ্ধের ক্যাম্প তৈরি হয়। প্রথম বশিরহাটে পরে ক্যাম্প টাকিতে সরিয়ে নেওয়া হয়। টাকি স্কুলে এ ক্যাম্প ছিল। নৌ কমান্ডো কোর্স করতে মে মাসে ভারত যাই। জুলাই মাসে দেশে ফিরে আসি। মেজর জলিল হাসনাবাদে লঞ্চ থেকে কমান্ড করতেন। পলাশির ভাগিরতী নদীর তীরে ইন্ডিয়ান নেভির তত্ত্বাবধানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরাগান্ধী, বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমেদ ও জেনারেল ওসমান গণির তত্ত্বাবধানে অত্যন্ত গোপনীয়তার সাথে আমাদের ট্রেনিং হয়। সে ট্রেনিং শেষ করে মংলা, পাকশী ও চট্টগ্রামে যায়। ১৯৭১ সালের ১৫ আগস্ট আক্রমণ শুরু করি। আমাদের সাথীরা বুকে মাইন বেধে জাহাজ ডুবিয়ে দিয়েছিলো। একটা কথা খুব মনে পড়ে- আমাদের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেছিলেন, আমাদের ছেলেরা তিন পথেই আক্রমণ করবে। আমার তা করতে পেরেছি। ১৫ আগস্ট মংলাতে পাকিস্তানিদের উপর আক্রমণ শুরু হয়- তাতে যোগ দিয়েছিলাম। সাথে ছিলেন, আমিনুর রহমান (খশরু), শহীদ সিরাজ, জুয়াদুর রসুল, ইমাম বারি। ৯নং সেক্টর শুরু করার সময় কোন রেগুলার ফোর্স ছিল না। সর্বস্তরের মানুষ এসে এতে যোগ দেয়। তাদের ভিতর ছাত্র, শিক্ষক, শ্রমিক অনেকে ছিলেন। কিছু আর্মি অফিসারও ছিলেন। আমরা যুদ্ধে থ্রি নট থ্রি ও স্টেনগান ব্যবহার করতাম। চট্টগ্রামে এক মিশনে আমাদের ছয়জন কমান্ডো ধরা পড়ে। পাকিস্তানিরা তাদের নির্যাতন করে হত্যা করে। আমি নেভাল কোর্সে প্রথম হয়েছিলাম।

সুপ্রভাত সাতক্ষীরা: কার অনুপ্রেরণায় যুদ্ধে গিয়েছিলেন?
মীর মোস্তাক আহমেদ রবি: জাতির জনক শেখ মুজিবের ডাকে যুদ্ধে গিয়েছিলাম।

সুপ্রভাত সাতক্ষীরা: একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে কেমন বাংলাদেশ দেখতে চেয়েছিলেন?
মীর মোস্তাক আহমেদ রবি: বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলাদেশ দেখতে চেয়েছিলাম। যেখানে মানুষ তার মৌলিক চাহিদাগুলো সহজে পূরণ করতে পারবে।

সুপ্রভাত সাতক্ষীরা: স্বাধীনতার ৪৭ বছর পর এখন কেমন বাংলাদেশ দেখছেন?
মীর মোস্তাক আহমেদ রবি: বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করার পর দেশের অবস্থা কেমন ছিলো তা সবাই জানে। আল্লাহর রহমতে তিন বারের প্রধানমন্ত্রী আমাদের প্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গড়ার কাজ করে যাচ্ছেন। নেত্রী দেশের মানুষকে পদ্মা সেতু উপহার দিচ্ছে। দেশের প্রবৃদ্ধি এখন বেশ ভাল। দেশে বিদ্যুৎ সমস্যা নেই। প্রধানমন্ত্রী সারা দেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি করবেন। দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থা বেশ ভাল। আমার ৫৭তম দেশ হিসেবে মহাকাশে স্যাটেলাইট পৌঁছাতে পেরেছি। নিঃসন্দেহে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।

সুপ্রভাত সাতক্ষীরা: ২০১৩ সালে সাতক্ষীরায় ঘটে যাওয়া নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সম্পর্কে কিছু বলুন?
মীর মোস্তাক আহমেদ রবি: সাতক্ষীরার ছেলে-মেয়েরা সর্বক্ষেত্রে ভাল করছে। সাতক্ষীরার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা প্রমোশন পেতে সমস্যা হচ্ছে। কিন্তু ২০১৩ সালে কয়েকজন যুদ্ধাপরাধীর রায়কে কেন্দ্র করে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি জামায়াত-বিএনপি সাতক্ষীরায় যে সহিংসতা চালিয়েছিলো তাতে আমাদের মাথা নত হয়ে গেছে। আমরা সাতক্ষীরার মানুষ অত্যন্ত শান্তি প্রিয়। কিন্তু আমাদের সাতক্ষীরাকে যারা কলঙ্কিত করেছিলো তার হোতাদের তাদের খুঁজে বের করতে হবে।

সুপ্রভাত সাতক্ষীরা: যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় পরবর্তী যে সহিংসতা সাতক্ষীরাতে হয়েছিলো, আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে তা কতটা মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়েছিলো বলে মনে করেন?
মীর মোস্তাক আহমেদ রবি: আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়েছিল। পরিস্থিতি মোকাবেলা করেছিল আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। এখন আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করছে।

সুপ্রভাত সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরায় আওয়ামী লীগের বর্তমান সাংগঠনিক অবস্থা কেমন? জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হিসেবে কীভাবে মূল্যায়ন করবেন-
মীর মোস্তাক আহমেদ রবি: আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক অবস্থা জোরদার করেছি, দল এখন অন্য যেকোন সময়ের চেয়ে শক্তিশালী। দলটাকে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে নিয়ে যাবো। আওয়ামী লীগ আরো সুসংগঠিত হবে। শুধুমাত্র মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধীদের সাথে কোন আপোস হবে না।

সুপ্রভাত সাতক্ষীরা: দলে জামায়াত-শিবিরের কর্মীদের অনুপ্রবেশ ঘটছে- সর্বত্র এমন অভিযোগ শোনা যায়, সাতক্ষীরার প্রেক্ষাপটে বিষয়টি নিয়ে কিছু বলুন?
মীর মোস্তাক আহমেদ রবি: ছাত্রশিবিরের ক্যাডার ছিল, এখন সাংবাদিকতার মাধ্যমে বিভিন্নভাবে আওয়ামী লীগকে ক্ষতি করার চেষ্টা করছে। এধরনের যারা আছে- তাদের খুঁজে বের করতে হবে। আওয়ামী লীগ ও বর্তমান সরকারের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে কিছু মানুষ আমাদের সবসময় বদনাম করে। মূল দলে কোন খারাপ মানুষ আসেনি। তবে অঙ্গ সংগঠনে প্রবেশ করতে পারে। কিন্তু আমাদের সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাদের এবিষয়ে সব সময় সতর্ক থাকতে বলছি। মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী কেউ যেন দলে ঢুকতে না পারে। অন্য কোন দল করে না বাট আওয়ামী লীগও করে না তাদের জনপ্রিয়তা আছে, এমন লোককে ভোটের রাজনীতিতে সমর্থক করা যাবে, কিন্তু পদে রাখা যাবে না।

সুপ্রভাত সাতক্ষীরা: আপনার রাজনৈতিক জীবনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কোনটি?
মীর মোস্তাক আহমেদ রবি: বঙ্গবন্ধুর সান্নিধ্য পাওয়া। তিনি আমাকে একটা চুমু দিয়েছিলেন। এছাড়া সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের ভিপি নির্বাচনে বিপক্ষ দলেরা আমাদেরকে মুজিববাদী গুণ্ডা আখ্যায়িত করেছিল। তারপরেও আমরা ফুল কেবিনেটসহ নির্বাচিত হই।

সুপ্রভাত সাতক্ষীরা: ২০১৪ সালের নির্বাচনে আপনি যে ইশতেহার ঘোষণা করেছিলেন- তার কতটুকু বাস্তবায়ন করতে পেরেছেন বলে মনে করেন?
মীর মোস্তাক আহমেদ রবি: ২০১৪ সালের নির্বাচনে আমার ইশতেহার দেওয়ার তেমন সুযোগ হয়নি। তবে দল যে ইশতেহার দিয়েছিলো তার পূরণ করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। যোগাযোগ, বিদ্যুৎ, ভিজিডি, ভিজিএফ, বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতাসহ সকল সুবিধা আজ মানুষ পাচ্ছে। দল যে কথা দিয়েছিলো তা রাখছে। প্রধানমন্ত্রী সবার জন্য কাজ করছেন। জনগণ যদি সুযোগ দেয় তাহলে অবশিষ্ট কাজগুলো শেষ করবো। মাছখোলা নদীর ওপারে বিদ্যুৎ, কালভার্ট, রাস্তা করে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে জনগণ খুশি। কিছু ব্যর্থতা থাকতে পারে। অতীতের সাতক্ষীরা থেকে বর্তমান সাতক্ষীরা অনেক ভাল। মানুষ নিজের বিবেকের কাছে দায়বদ্ধ। এলাকার মানুষ একের অধিকবার অনুদান পেয়েছে। যখন যেভাবে পেরেছি মানুষের জন্য কাজ করেছি। এছাড়া ৬০টির মত নতুন রাস্তা তৈরি ও পুরাতন রাস্তার সংস্কার, ৪৫টি ব্রিজ/কালভার্ট নির্মাণ, সদর উপজেলার ৯০ ভাগ এলাকা বিদ্যুতায়নের আওতায় আনা ও ২৫টির মত বাজারে সোলার লাইট স্থাপন করা হয়েছে।

সুপ্রভাত সাতক্ষীরা: আপনি কেমন সাতক্ষীরার স্বপ্ন দেখেন?
মীর মোস্তাক আহমেদ রবি: একটি সুন্দর সাতক্ষীরার স্বপ্ন দেখি- যেখানে মাদক, বাল্যবিবাহ, ও সন্ত্রাস, চোরাকারবারী থাকবে না। অস্থিতিশীল সাতক্ষীরা চাই না। সব দিক থেকে সাতক্ষীরা শ্রেষ্ঠ। সাতক্ষীরার মানুষ পশ্চিম বাংলার মুখ্যমন্ত্রী, কলকাতার মেয়র। কেন হবে না সুন্দর সাতক্ষীরা?

সুপ্রভাত সাতক্ষীরা: আপনি মহান জাতীয় সংসদে সাতক্ষীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা বলেছিলেন, সেটার কি অবস্থা?
মীর মোস্তাক আহমেদ রবি: বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা আমি সংসদে কয়েক বার বলেছি। সাতক্ষীরা সরকারি কলেজকে কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় করার প্রস্তাব রেখেছিলাম কিন্তু বলার পর কোন অগ্রগতি হয়নি।

সুপ্রভাত সাতক্ষীরা: প্রাণ সায়ের খাল নিয়ে আপনার কোন পরিকল্পনা আছে?
মীর মোস্তাক আহমেদ রবি: ছোটবেলায় দেখতাম এই খাল অনেক বড় ছিল। কিন্তু শহরের বর্তমান পরিস্থিতিতে এটা আর বড় করা সম্ভব না। এটাকে আরো নান্দনিক করে তুলতে হবে। এটা সাতক্ষীরাবাসীর বিনোদনে উল্লেখযোগ্য ভুমিকা রাখতে পারবে। বলা যায় যে, ঢাকার হাতির ঝিলের মত একটা প্রকল্প হাতে নেয়া যেতে পারে।

সুপ্রভাত সাতক্ষীরা: স্বপ্ন পূরণে কোন বিষয়গুলোর প্রতি গুরুত্ব দেওয়া উচিত বলে মনে করেন?
মীর মোস্তাক আহমেদ রবি: যেসব কাজগুলো অবশিষ্ট আছে তা সবাইকে নিয়ে সঠিক ও পরিকল্পিতভাবে শেষ করতে পারলে স্বপ্ন পূরণ করা সম্ভব হবে।

সুপ্রভাত সাতক্ষীরা: আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে কি ভাবছেন?
মীর মোস্তাক আহমেদ রবি: নিজের পার্সোনালিটি থাকলে সম্মান পাবো। আমাদের দাসত্ব দৃষ্টিভঙ্গী ত্যাগ করতে হবে। সংবিধানের ২১/২ ধারা অনুযায়ী কাজ করতে হবে। আমি আশা করি যে গুণগুলো থাকলে এমপি হওয়া যায় তা আমার মধ্যে আছে।

সুপ্রভাত সাতক্ষীরা: আবারও এমপি নির্বাচিত হলে আপনি সাতক্ষীরার উন্নয়নে কোন কোন বিষয়ে কাজ করতে চান?
মীর মোস্তাক আহমেদ রবি: যে কাজগুলো বাকি আছে সেগুলো শেষ করবো। আমাদের ভোমরা পোর্টটি আরো বড় করার উদ্যোগ নেবো। আলাদা একটা পাওয়ার প্লান্ট করার উদ্যোগ নেবো। সাতক্ষীরার ছোট সড়কগুরো বড় করতে হবে। সাতক্ষীরাকে একটি ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোন করতে হবে। সুপেয় পানির সরবরাহ বাড়াতে হবে। দখলবাজি বন্ধ করতে হবে। প্রতিবন্ধীদের নিয়ে কাজ করতে চাই। তাদের যদি সুন্দর জীবন উপহার দিতে পারি- এটাই ভাল লাগার হবে। এছাড়া মুক্তিযোদ্ধা পরিবারগুলো যাতে ভাল থাকে সে চেষ্টা করবো।

সুপ্রভাত সাতক্ষীরা: নাভারণ-মুন্সীগঞ্জ রেললাইন প্রকল্পের অগ্রগতি কতদূর?
মীর মোস্তাক আহমেদ রবি: রেললাইন প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত একটি প্রকল্প। এটার কাজ চলছে, এখন ফান্ডের অভাব আছে। এই অভাব কেটে গেলে আশা করি দ্রুত আমরা এক কাজ দেখতে পাবো।

সুপ্রভাত সাতক্ষীরা: আপনাকে ধন্যবাদ।
মীর মোস্তাক আহমেদ রবি: সুপ্রভাত সাতক্ষীরাকেও ধন্যবাদ।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version