জুলাই ১৬, ২০১৮
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ: ডাক্তার নয়, কলারোয়ার রহিমা নার্সিং হোমে সিজার করেন ক্লিনিক মালিক ও আয়া
সুপ্রভাত সাতক্ষীরা ডেস্ক: ভুল চিকিৎসায় এক প্রতিবন্ধী প্রসূতি মায়ের জীবন মৃত্যু ঝুঁকিতে পতিত হয়েছে অভিযোগ করে- কলারোয়ার রহিমা নার্সিং হোম বন্ধ ঘোষণার দাবি জানানো হয়েছে। সোমবার (১৬ জুলাই) বিকালে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে যশোর জেলার বেনাপোল উপজেলার খড়িডাঙ্গা গ্রামের মৃত ছলেমান মোড়লের ছেলে জিয়ারুল ইসলাম এই দাবি জানান। এ সময় লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমার প্রতিবন্ধী স্ত্রী মনোয়ারা খাতুনের প্রসব বেদনা শুরু হলে তাকে কলারোয়ার কাজির হাটের রহিমা নার্সিং হোমে ভর্তি করি। আমরা জানতাম না সেখানে কোন এমবিবিএস চিকিৎসক নেই। প্রয়োজন হলে বিভিন্ন স্থান থেকে ডাক্তার নিয়ে আসে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সে সময় ডাক্তার না পাওয়ায় ওই ক্লিনিকের আয়া সাবিনার সহযোগিতায় ক্লিনিকের মালিক জামায়াত কর্মী মাওলানা হুমায়ুন কবির ও কমপাউন্ডার আশরাফুল আমার স্ত্রীর সিজার করে। সিজারে আমার একটি কন্যা সন্তান হয়েছে। কিন্তু নবজাতক সুস্থ থাকলেও ভুল চিকিৎসায় আমার স্ত্রী বর্তমানে মৃত্যু পথযাত্রী। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে খুলনা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া তার সু-চিকিৎসা করাতে অনেক টাকার প্রয়োজন। যা আমার মতো অসহায় গরীব মানুষের পক্ষে জোগাড় করা সম্ভব নয়। তিনি আরো জানান, লাইসেন্সবিহীন এসব অবৈধ ক্লিনিক অসহায় মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। ক্লিনিকের কোন শর্ত না মেনেই তারা দিনে পর দিন ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। আর এর বলি হতে হচ্ছে অসহায় মানুষকে। তারা ক্লিনিকের সামনে একাধিক এমবিবিএস ডাক্তারের নাম উল্লে¬খ করে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে রাখে। অথচ আদৌ ওইসব ডাক্তার ক্লিনিকে নেই বা আসেন না। ডাক্তারদের নাম ভাঙিয়ে মালিক, আয়া ও ওয়ার্ডবয় দিয়ে চালানো হয় ক্লিনিক। আর প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষকে ভুল বুঝিয়ে তাদের ক্লিনিকে ভর্তি করিয়ে টাকা পয়সা হাতিয়ে নেয়। এতে রোগীদের একদিকে টাকা নষ্ট হয়, অন্যদিকে চিকিৎসার নামে চলে অপচিকিৎসা। 8,412,547 total views, 700 views today |
|
|
|