Site icon suprovatsatkhira.com

ভোগান্তিময় সড়কে নাকাল পৌরবাসী

এস.এম নাহিদ হাসান/এস.আর শাকিল: ভোগান্তিময় সড়কে নাকাল হয়ে পড়েছে সাতক্ষীরা পৌরবাসী। দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্রের সড়কগুলো বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। সড়কের কার্পেটিং, ইট, বালু ও খোয়া উঠে খানাখন্দকে ভরে গেছে। সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত। এছাড়া পানি নিষ্কাশনের জন্য পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টি হলেই সড়কে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। ঘটছে দুর্ঘটনা। এতে চলাচলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে লক্ষ লক্ষ মানুষ।
সাতক্ষীরা পৌর এলাকার অভ্যন্তরীণ সড়কগুলো ঘুরে দেখা যায়, শহরের আমতলা থেকে টাউনবাজার মোড়, কুকরালি মোড় থেকে কুকরালি বলফিল্ড মোড়, রাজ্জাক পার্ক মোড় থেকে জেবুন্নেছা ছাত্রী হোস্টেল, পুরাতন সাতক্ষীরার মায়ের বাড়ি মন্দির মোড় থেকে বদ্দিপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় মোড়, মাতৃসদন থেকে টিএনটি মোড়, নারকেলতলা মোড় থেকে থানাঘাটা ব্রিজ, শহরের বাঙ্গালের মোড় থেকে খানপুর চার রাস্তার মোড় সড়কের বেহাল দশা। এসব সড়ক অধিকাংশ সময় বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধ থাকে। দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় সড়কটি যে পিচ দিয়ে তৈরি তা বোঝার উপায় নেই। পিচ, ইট, খোয়া উঠে গিয়ে বেহাল দশার সৃষ্টি হয়েছে। এসব সড়কে যানবাহন তো দূরের কথা হেটে চলাও দুষ্কর হয়ে পড়েছে।
পৌরবাসী অভিযোগ করে বলেন, সাতক্ষীরা পৌরসভা ১৯৯৮ সালে প্রথম শ্রেণিতে উন্নতি হলেও পৌরসভার সড়কগুলোর এমন করুণ অবস্থা, যা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। প্রতি বছর আমাদের পৌর কর বৃদ্ধি করা হয়, কিন্তু নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধি করা হয় না। এসব সড়ক দিয়ে স্কুল, কলেজগামী ছাত্র-ছাত্রীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ রাতদিন চরম দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে চলাচল করছে। নি¤œমানের কাজ ও অপরিকল্পিত সড়ক নির্মাণ করায় সড়কের আজ এই দুরাবস্থা।
বাঙ্গালের মোড় এলাকার ভ্যান চালক হুমায়ন কবীর বলেন, আমাদের এ দুর্দশা নতুন নয়। প্রতি বছর বৃষ্টি এলেই আমাদের ভোগান্তি চরমে ওঠে। রাস্তার কোথাও ভাল দেখতে পাবেন না। মনে হবে ইটের রাস্তা। এরাস্তায় গাড়ি চালাতে কষ্ট হয়। যাত্রীরা বেশি ভাড়া দিতে চায় না। এদিকে আবার দিন যত বাড়ছে পৌরসভার বিভিন্ন কর এসে ঘাড়ের উপর পড়ছে। সব কিছু পরিশোধ করার পরও যদি রাস্তাঘাটের এ দশা হয় তাহলে কি আর বলবো। এই কষ্ট লাঘবের কি কেউ নেই?
উত্তর কাটিয়ার আব্দুল ওহাব বলেন, বৃষ্টি হলেই তো সড়কে বের হওয়া যায় না। সড়কে কাদায় ভরে যায়। হেটে চলা কষ্টকর হয়ে পড়ে। পৌরসভার ভিতরে বাস করার চেয়ে গ্রামে বাস করা ভাল। আপনি যে কোন গ্রামে এর চেয়ে ভাল সড়ক দেখতে পাবেন।
রথখোলা বিল এলাকার ব্যবসায়ী মুজাহিদুর রহমান বলেন, বর্ষার সময় সড়কটি পানির নিচে থাকে। পেপার পত্রিকায় লেখালেখি হয়, কোন কাজ হয় না। আমাদের সারাদিন কাজ কাম শেষ করে পানি ভেঙ্গে বাসায় ফিরতে হয়। এখানকার পানি সরানোর জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সড়কের এ অবস্থা। তিনি আরো বলেন, শুনেছি অনেক সড়কের কাজ দ্রুত শুরু হবে। দেখা যাক কি হয়?
এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা পৌরসভার পরিকল্পনাবিদ শুভ্র চন্দ্র মহলী বলেন, জরাজীর্ণ সড়ক সংস্কারে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে এলজিইডির তত্তা¡বধানে পাঁচটি সড়কের সংস্কার কাজ চলছে। আমারা আশা করছি দ্রুতই অন্য সড়কগুলো সংস্কারের কাজ শুরু করতে পারবো।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version