শ্যামনগর প্রতিনিধি: ফেসবুকে প্রাপ্ততথ্যের ভিত্তিতে শ্যামনগরের কৈখালী ইউনিয়নের ০৬নং ওয়ার্ডের পরানপুর গ্রামের বাসিন্দা হতদরিদ্র গুরুচরণ গাইনের (৭৬) মুখে হাসি ফোটালেন শ্যামনগরের উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামরুজ্জামান।
সম্প্রতি ‘আর কত বয়স হলে বয়স্কভাতা পাবে কৈখালীর গুরুচরণ-কৌশল্যা’ শিরোনামে অনলাইন মিডিয়ায় প্রচারিত সংবাদ ফেসবুকের মাধ্যমে নজরে আসে শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামারুজ্জামানের। তিনি বিষয়টি খোঁজখবর নেন এবং গুরুচরণকে বয়স্ক ভাতার কার্ড প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। সব প্রক্রিয়া শেষে বুধবার (৪ জুলাই) উপজেলা মৎস্য অফিসে গুরুচরণ গাইনের হাতে বয়স্ক ভাতার বই তুলে দেন।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মো. শহিদুর রহমান, কৃষি অফিসার মো. আবুল হোসেন মিয়া, মৎস্য অফিসার ফারুক হোসেন সাগর প্রমুখ।
এ বিষয়ে শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামরুজ্জামান বলেন, আমরা অনলাইনে প্রাপ্ত তথ্য গুরুত্ব¡ সহকারে বিবেচনা করে জানতে পারি গুরুচরণ গাইন আসলেই বয়স্ক ভাতা পাওয়ার যোগ্য। তবে গুরুচরণ গাইনের স্ত্রী কৌশল্যা রানীর বয়স ৬৪ বছর হলেও একই পরিবারের দুইজনকে ভাতার কার্ড দেওয়ার সুযোগ না থাকায় আমার শুধু গুরুচরণ গাইনকে বয়স্ক ভাতার কার্ড প্রদান করেছি। তবে এ সময় তিনি অসহায় এ পরিবারটির পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
ফেসবুকে দেখে গুরুচরণের বয়স্ক ভাতার ব্যবস্থা করলেন শ্যামনগরের ইউএনও
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/