Site icon suprovatsatkhira.com

পৌরসভার জমি দখল ও বিদ্যুৎ লাইন ভেদ করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ, প্রশাসন নির্বিকার!

ডেস্ক রিপোর্ট: সাতক্ষীরা পৌরসভার মাত্র কয়েকশ’ হাত দূরে প্রাণ সায়ের খালের পাড়ে পৌরসভারই জমি দখল করে অবৈধস্থাপনা (দ্বি-তল ভবন) নির্মাণ করেছে পিকে ক্লাব। শুধু জমি দখলই নয়, ভবন নির্মাণে মানা হয়নি বিল্ডিং কোড। ৩৩ হাজার কেভি বিদ্যুতের লাইনের মধ্যদিয়ে তৈরী করা হয়েছে এই ভবন। এতে দুর্ঘটনার আশংকা দেখা দিয়েছে।
জানা যায়, ২০০৭ সালে তত্ত্বাধবায়ক সরকারের আমলে প্রাণ সায়ের খাল পাড়ের সব অবৈধ স্থাপনা গুড়িয়ে দিয়ে দখল মুক্ত করা হয়। কিন্তু তার কয়েক বছর পরেই ফের পুরাতন ডাক বাংলোর বিপরীতে প্রাণ সায়ের খালের জমি দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে একাধিক স্থাপনা। এর মধ্যে পিকে ক্লাব ৩৩ হাজার কেভি বিদ্যুতের লাইন ভেদ করে পৌরসভার জমি দখল পূর্বক দুইতলা ভবন গড়ে তুলেছে।
এর নিচেরতলা সাতক্ষীরা টাইল্স সেন্টারের কাছে ভাড়া দেওয়া হয়েছে। উপরের তলা এখনো নির্মাণাধীন। কিন্তু দ্বিতীয় তলা তৈরি করা হয়েছে বিদ্যুতের ৩৩ হাজার কেভি লাইনের মধ্যদিয়ে। এতে যে কোন সময় ঘটতে পারে অনাকাক্সিক্ষত দুর্ঘটনা।
এ ব্যাপারে পিকে ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোমেন খান চৌধুরী শান্টু বলেন, পিকে ক্লাব জেলার ঐতিহ্যবাহী ও পুরাতন একটি ক্লাব। এই ক্লাবের ক্রিকেট, ফুটবল এবং হকি খেলেয়াড়দের বসার জায়গা করতে ১৯৩৮ সালে পৌরসভার কাছ থেকে জায়গাটি লীজ নেওয়া হয়। জায়গার অভাবে লাইব্রেরি করা সম্ভব হচ্ছে না। এখন নিচের তলা সাতক্ষীরা টাইল্স সেন্টার ও আরও একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানকে ভাড়া দেওয়া হয়েছে।
২০০৭ তত্তা¡ধবায়ক সরকারের আমলে পিকে ক্লাবের অবৈধ স্থাপনা ভেঙ্গে দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তখন আমাদের কাগজপত্র হালনাগাদ করা ছিলো না এবং তৎকালীন মেয়র আমাদের বিরোধিতা করে আমাদের স্থাপনা ভেঙ্গে দিয়েছিল। বিল্ডিং কোড মেনে আমাদের বিল্ডিং তৈরী করা হয়েছে। ৩৩ হাজার কেভি বিদ্যুতের লাইন থেকে দূরত্ব বজায় রেখে আমাদের বিল্ডিৎ তৈরী করা হয়েছে। তবে পাওয়ার হাউজ থেকে কোন অনুমতি নেওয়া হয়নি।
ওজোপাডিকো সাতক্ষীরার আবাসিক প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান বলেন, বিল্ডিং কোড অনুযায়ী পৌরসভার রাস্তার থেকে ১০ ফিট দূরে যে কোন স্থাপনা নির্মাণ করতে হবে। তবে পিকে ক্লাব বিল্ডি কোড মেনেছে কিনা সেটা দেখতে হবে। ৩৩ হাজার কেভি বিদ্যুতের লাইনের মধ্যে তাদের বিল্ডিং তৈরীর কারণে যে কোন সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। বিষয়টি তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা পৌর মেয়র তাসকিন আহমেদ চিশতি বলেন, পৌরসভা থেকে পিকে ক্লাব ওই জমি লিজ নিয়েছে কিনা সেটা আমার জানা নেই। পৌরসভার সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। পিকে ক্লাবের ভবন নির্মাণে বিল্ডিং কোড মেনে না থাকলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version