Site icon suprovatsatkhira.com

চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে নারকেলতলা-আখড়াখোলা-দেবনগর সড়ক, দুর্ভোগ চরমে

এমআর মামুন, বল্লী: বর্ষা হলেই সদর উপজেলার আখড়াখোলা-নারকেলতলা ও আখড়াখোলা-উত্তর দেবনগর সড়কে পানি জমে। এ বছরও এর ব্যতিক্রম হয়নি। একই সাথে দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে সড়ক দুটি।
স্থানীয় দেবনগরের বাসিন্দা নব কুমার বলেন, সড়ক দুটি দিয়ে তিন ইউনিয়নের ১৫টি গ্রামের মানুষ চলাচল করে। ছাল-চামড়া উঠে খানা-খন্দকে ভরা সড়ক দুটি যাতায়াতের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। তবুও বাধ্য হয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলছে ইঞ্জিন ও ব্যাটারি চালিত ভ্যান, ভাড়ায় চালিত মোটর সাইকেল ও বাইসাইকেল। প্রতিনিয়তই ঘটছে দুর্ঘটনা। খানা-খন্দকে পড়ে উল্টে যায় মোটর সাইকেল ও ভ্যান।
স্থানীয় সূত্রে আরও জানা যায়, সদর উপজেলার আখড়াখোলা থেকে নারকেলতলা সড়কে এক যুগ আগে পিচ দেওয়া হয়। কিন্তু গত চার-পাচ বছরের বেশি সময় ধরে সড়কটির বেহাল দশার সৃষ্টি হয়েছে। এতে এই সড়কে হেটে চলাও দুষ্কর হয়ে পড়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সদরের থানাঘাটা মোড় থেকে নারকেলতলা পর্যন্ত সড়কের ইট, খোয়া ও পিচ উঠে ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সড়কের বেশ কিছু অংশ নিচু হওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে কাদা-মাটিতে পোশাক নষ্ট হয়ে যায় সাধারণ মানুষের। নারকেলতলার সন্নিকটে ‘রাকিব মিঞা সরণি’ নিকটস্থ নর্দামার একাংশ নেই বললেই চলে। ফলে সড়কটি সংকীর্ণ হয়ে পড়েছে।
অন্যদিকে, থানাঘাটা মোড় থেকে আখড়াখোলা সড়কের বিভিন্ন অংশে খানা-খন্দের সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে মথুরাপুর বাজার থেকে উত্তর দেবনগর বিল পর্যন্ত সড়ক খানা খন্দকে ভরা। দেবনগর চারা বটতলা সংলগ্ন জামে মসজিদের পাশে এতোটাই গর্ত যে পিচের নিচের মাটি দেখা যাচ্ছে। আর এই বর্ষা মৌসুমে অল্প বৃষ্টি হলেই গর্ত পানিতে ভরে ছোট ছোট পুকুরে পরিণত হয়। এছাড়াও ছোট-বড় অনেক গর্ত রয়েছে এই সড়কে।
সবচেয় করুণ অবস্থা দেবনগরের বিলের সড়কের। সড়কের উপর পিচ নেই বললেই চলে। এমনকি সড়কের এক পাশ বসে গিয়ে বড় ড্রেনের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে এটাকে ছোট/সরু খালের সাথে তুলনা করছেন। আর বর্ষা মৌসুম এলেই সড়কটি বিলের পানিতে একাকার হয়ে যায়। বিলের নিকটস্থ সড়কের পাশে ২০০৫ সালে স্থাপিত হয়েছে ‘আখড়াখোলা আইডিয়াল কলেজ’। এমনকি পার্শ্ববর্তী বল্লী মো. মুজিবুর রহমান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পৌঁছাতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় শিক্ষার্থীদের।
এদিকে, আখড়াখোলা বাজারের ব্যবসায়ীদের পক্ষে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, সরাসরি সাতক্ষীরা শহর থেকে পণ্য আনা-নেয়ার সময় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় আমাদের। এজন্য আমরা সরকার প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ অনার্স ৩য় বর্ষের ছাত্র সাইদুর রহমান জানান, সাধারণ শিক্ষার্থীরা কলেজে যেতে এই সড়ক ব্যবহার করে। কিন্তু সড়কটি দীর্ঘ দিন যাবত সংস্কারের অভাবে পড়ে আছে। সড়কটি দিয়ে ঝাউডাঙ্গা, বল্লী, লাবসা ইউনিয়নের প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ প্রতিনিয়তই যাতায়াত করে। সংস্কার না করায় দিন দিন সড়কটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। তবুও চরম দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে লোকজন চলাচল করছে।
তিনি আরো বলেন, নেতাদের কাছে গেলে শুধুই আশ্বাস মেলে। কিন্তু কাজ হয় না। সড়ক দ্রুত সংস্কারে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version