পলাশ আহসান
লেখাটি শুরু করতে চাই, নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকে উদ্ধৃত করে। এক বক্তৃতায় তিনি বলেছিলেন, “গণমাধ্যম পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা ভোগ করলে সেখানে দুর্ভিক্ষ হয় না।” তৃৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর দারিদ্র্য নিয়ে গবেষণার পর এই বোধ প্রকাশ করেছিলেন তিনি। একজন সাংবাদিক হিসেবে আমিও বলতে চাই গণমাধ্যম যদি ঠিকঠাক কথা বলতে পারে, শুধু দুর্ভিক্ষ কেন, যে কোন দুর্যোগ, তা সে প্রাকৃতিক বা কৃত্রিম যাই হোক, তা থেকে রক্ষা পাওয়ার সর্বোচ্চ সম্ভাবনা তৈরি হয়।
পাঠক নিশ্চয়ই খেয়াল করেছেন, স্বাধীন গণমাধ্যমের সুফল পাওয়ার জন্যে ‘ঠিকঠাক কথা বলতে পারে’ এর মত একটি শর্ত জুড়ে দিয়েছি। কারণ গণমাধ্যমকে ঠিক ঠাক কথা বলার জন্যে ঠিক ঠাক তথ্য পেতে হয়। সুতরাং বলতেই হচ্ছে, গণমাধ্যমের সাফল্যের পুরোটাই নির্ভর করছে তথ্য পাওয়ার ওপর। কারণ গণমাধ্যম তথ্য বানায় না। কোন না কোনভাবে যোগাড় করে, সেই তথ্য মানুষকে জানায়। আর তথ্য যোগাড়ের পেশাগত দায়িত্ব সাংবাদিকের।
আমাদের এখনকার আলোচনার বিষয় হচ্ছে, সাংবাদিকের তথ্য যোগাড়। মানুষের জীবনমানের উন্নয়নে তথ্য প্রাপ্তির ভূমিকার কথা সমাজ বিজ্ঞানীরা নিশ্চয়ই অনেক আগেই বুঝেছিলেন। যে কারণে ১৭৬৬ সালে সুইডেনে প্রথম সংবাদপত্রের স্বাধীনতা আইন নামে একটি আইন প্রচলন করেছিলেন। তাই সভ্যতার ইতিহাসে আইনটি প্রাচীনতম। সেখানে বলা হয়েছিল, প্রত্যেক মানুষের যে কোন তথ্য জানার অধিকার আছে। আরো বলা হয়, মানুষের স্বার্থে গণমাধ্যম স্বাধীনভাবে যে কোন সত্য প্রকাশ করতে পারবে। যে কারণে আইনটির শিরোনামও বদলে নাম দেয়া হয় ‘তথ্য স্বাধীনতা আইন’। বর্তমানে পৃথিবীর ৭০টি দেশে কাছাকাছি শিরোনামে আইনটি চালু আছে। তবে নাম যাই হোক, কাজ একই, সেটা হচ্ছে, মানুষের তথ্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করা।
বাংলাদেশে আইনটির নাম তথ্য অধিকার আইন। ২০০৮ সালের অক্টোবরে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত¡াবধায়ক সরকার এসংক্রান্ত অধ্যাদেশ জারি করেছিল। ২০০৯ সালের ৩০শে মার্চ নির্বাচিত সরকার সংসদে অধ্যাদেশটি আইনে পরিণত করে। ওই দিন থেকেই তথ্য প্রাপ্তির ক্ষেত্রে অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট, রুলস অব বিজনেস, এর মত অযুহাত সরে গিয়েছিল প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে। সবাই ভাবছিলেন এখন চাইলেই সব তথ্য চলে আসবে হাতের মুঠোয়। তথ্য প্রাপ্তির ক্ষেত্রে সেটাকে বিপ্লবও বললেন কেউ কেউ। ২০০৯ থেকে ২০১৮। নয় বছর হয়ে গেলো। কাগজপত্রে বাংলাদেশের মানুষ এখন এই আইনের চর্চা করছেন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই চর্চায় তাদের জীবনমান কতটুকু বদলেছে? সাংবাদিক হিসেবে আমি নিজেও এই চর্চার মধ্যে আছি। অনেকে অনেক ভাবে বলবেন। তবে শুরুতে আমি ইতিবাচক ভাবেই বলতে চাই বাংলাদেশের মানুষ এখন আগের চেয়ে অনেক কথা বলতে পারছেন। সাংবাদিকরাও মানুষকে আগের চেয়ে অনেক বেশি তথ্য দিচ্ছেন। মানুষের জীবনে এখন গণমাধ্যমের ইতিবাচক প্রভাব অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে বেশি। কিন্তু সেটা কতটুকু তথ্য অধিকার আইনের প্রভাব আর কতটুকু তথ্য প্রযুক্তির প্রসারের প্রভাব তা আলোচনার দাবি রাখে। আমি তো বলতে চাই, আমাদের তথ্য অধিকার আইনে যে গতি ছিল তা তথ্য প্রযুক্তির গতির কাছে এসে হোঁচট খাচ্ছে। যে কারণে মনে হচ্ছে এটা বোধ হয় তথ্য অধিকার আইনের দুর্বলতা। আমি মনে করি, এটা ঠিক দুর্বলতা নয়, সময়ের সঙ্গে অসামঞ্জস্য। তথ্য অধিকার আইনে বলা হচ্ছে, যে কোন প্রতিষ্ঠানের কাছে কোন তথ্য দরকার হলে আবেদন করতে হবে। যদি ওই প্রতিষ্ঠানের তথ্য দিতে আপত্তি না থাকে, তাহলে দিতে হবে ৩০ কার্য দিবসের মধ্যে। আর যদি আপত্তি থাকে তাহলে আবেদনকারীকে তা জানাতে হবে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে। সেই সঙ্গে আবেদনকারীকে জানাতে হবে, কেন তারা তথ্য দিতে পারছেন না। মানুষের জন্ম-মৃত্যু, জেল-জরিমানার প্রসঙ্গে যদি জড়িত থাকে তাহলেই শুধু তা নিষ্পত্তি করতে হবে ২৪ ঘণ্টায়।
আজকের দিনে একটা তথ্যের জন্যে ৩০ দিন অপেক্ষা করাটা দুরুহ। বিশেষ করে সাংবাদিকদের জন্যে। যেখানে যে মুহূর্তে কোন ঘটনা ঘটছে, সেখানেই চলে যাচ্ছে গণমাধ্যম, এই সময়ে একটি তথ্যের জন্যে ৩০ দিন অপেক্ষা করাকে শুধু পিছিয়ে দেয়া হচ্ছে বললে ভুল বলা হবে। আমি মনে করি, এই নিয়ম গণমাধ্যমের অগ্রগতির পেছনে বেঁধে রাখা লোহার শেকল। কারণ সাংবাদিকরা খুব বিশেষ ক্ষেত্রে এই অপেক্ষা করতে পারবেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তো পারবেনই না। আর এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি হতাশ হবেন টেলিভিশনের রিপোর্টাররা। কারণ তার শুধু তথ্য পেলেই চলে না। তথ্য দাতার কথাও দরকার হয়। বলা হচ্ছে জন্ম-মৃত্যু এবং জেল জরিমানা বিষয়ক কোন তথ্য হলে সেটা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দিতে হবে। জন্ম-মৃত্যু, জেল-জরিমানা ছাড়া বহু জরুরি বিষয় রয়েছে যেগুলো জরুরি ভিত্তিতে জানা দরকার। ধরা যাক, একটি খবর তৈরি করা দরকার কিছু শিক্ষার্থীর পরীক্ষার আগে পরিচয়পত্র না পাওয়া সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে। পরীক্ষার বাকি তিন দিন। এখন তথ্য অধিকার আইন মেনে তথ্য চেয়ে এবং পেয়ে দেখা গেলো তত দিনে ওই পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা শেষ হয়ে গেছে। সাংবাদিকদের তথ্যের প্রয়োজনীয়তাটা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এরকম।
প্রসঙ্গ উঠলো বলে বলতেই হচ্ছে, এই তথ্য প্রাপ্তির সময় নেয়ার যে প্রক্রিয়া এটা মোটেও সাংবাদিক বান্ধব নয়। আমার মনে হয় তথ্য অধিকার আইনে কোথায় তথ্যটি ব্যবহার হবে, সেই ভিত্তিতে ঠিক হওয়া উচিত ছিল, কতদিনে তথ্য দেয়া হবে। রাষ্ট্রের প্রতিটি নাগরিক তার মৌলিক অধিকারের বলেই তথ্য পাবেন। কিন্তু সব তথ্য তো তার নিজে যোগাড় করার দরকার নেই। কারণ তথ্য যোগাড় করে দেয়ার জন্যে একদল পেশাজীবী তো সমাজে আছেই। শুধু সেই পেশাজীবী দলকে অন্যদের আগে তথ্য দিলেই হয়। তথ্য অধিকার আইনে দেশের ৮টি গোয়েন্দা সংস্থাকে ২৩টি বিষয়ের তথ্য দেয়ার ব্যাপারে আলাদা করে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। সুতরাং এ ব্যাপারে তথ্য চাওয়াই যাবে না। জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার স্বার্থেই মূলত তাদের এই অব্যাহতি। কিন্তু সংখ্যাটি যখন ২৩, আর যে বিষয়গুলো বাকি আছে সেগুলো কোন না কোনভাবে ওই ২৩’র সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। চাইলে যে কেউ তথ্য না দিতে চাইলে, যেকোন বিষয় ২৩’র সঙ্গে যুক্ত করে দিতে পারেন। সুতরাং গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য প্রকাশ মোটামুটি নিয়ন্ত্রিতই বলা যায়। সেটা মুক্ত তথ্য প্রবাহের ক্ষেত্রে মোটেও সুখকর নয়। তাই অব্যাহতির বিষয়গুলো আরো পরিষ্কার হওয়া উচিত ছিল। মানুষ যদি বুঝতে পারতো কোন তথ্যটি তার চাওয়াই উচিত না তাহলে কেটে যেতো বহু ধোঁয়াশা। তথ্য প্রাপ্তির ক্ষেত্রে আরেকটি বড় বাঁধা হচ্ছে, কোন প্রতিষ্ঠানে কে তথ্য দেবেন? বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, বিশেষ করে ঢাকার বাইরে কোন প্রতিষ্ঠানের কাছে কোন তথ্য চাইলে শুরুতেই বলা হয় ‘আমরা ওমুকের অনুমতি ছাড়া কথা বলতে পারবো না’ আর তথ্য দেয়ার দায়িত্ব কার, জানতে চাইলে বলে, এরকম কোন পদই নেই। অথচ তথ্য অধিকার আইনে খুব পরিষ্কার করে বলা আছে প্রতেকটি প্রতিষ্ঠানে এই আইন প্রবর্তনের ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে তথ্য দেয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত পদ সৃষ্টি করতে হবে। আট বছর হয়ে গেলো এই আইন প্রতিষ্ঠানগুলো কতটুকু মেনেছে? এবং না মানার কারণে কী কী তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছে আমার চেয়ে যারা মাঠ পর্যায়ে কাজ করেন তারা ভাল বলতে পারবেন। আমি শুধু বার্তা কক্ষে বসে শুনতেই থাকি, ‘এব্যাপারে কেউ কথা বলতে চাইছে না’। এই কিছু দিন আগে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ইস্যুটিই হতে পারে তথ্য নিয়ে সাংবাদিকদের তথ্য দেয়া এবং না দেয়ার সর্বোচ্চ উদাহরণ। প্রথম থেকেই যখন রোহিঙ্গা আসা শুরু হলো, তখন আমাদের সীমান্ত রক্ষীরা স্বীকার করছেন না। রোহিঙ্গাদের আসার ছবি দেখা যাচ্ছে, তাদের কথা রেকর্ড করা যাচ্ছে, কিন্তু তখনো আমাদের সীমান্ত রক্ষীরা বলছেন না যে, রোহিঙ্গা আসছে বাংলাদেশে। সাংবাদিকরা জিজ্ঞাসা করলে বলছেন, এ নিয়ে আমাদের কথা বলা নিষেধ।
এরপর যখন এক পর্যায়ে বলা শুরু করলো যে রোহিঙ্গা আসছে, কিন্তু তাদের নানাভাবে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। এই সময় দেখা দিল সংখ্যা বিভ্রান্তি। কত রোহিঙ্গা এসেছে এই প্রশ্নে সরকারি তথ্য এক রকম আর স্থানীয় লোকজনের তথ্য আরেক রকম। শুধু তাই নয়, এই ফারাক আকাশ আর পাতালের। এক পর্যায়ে কূটনীতিকদের যাওয়া শুরু হলো রোহিঙ্গা ক্যাম্পে। সেখানেও সাংবাদিকদের লুকানোর প্রবণতা দেখা গেলো। কোন কোন কূটনীতিক তো ছবি তুলতেও বাধা দেন। একটি স্বাধীন দেশের একটা সমস্যার ইস্যুতে কিছু কূটনীতিক কাজ করবেন সেটাই স্বাভাবিক। তারা সবাই তো একটি সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছেন, সেটা জানার অধিকার তো সবার আছে। আজকের তথ্য অধিকার আইনের কোন ধারায় তো এই তথ্য আটকানোর সুযোগ নেই। কিন্তু কূটনীতিকরা সেই কাজটি করছেন। আবার একই ইস্যুতে যখন মালয়েশিয়া থেকে ত্রাণ আসলো, তখনো সেই একই প্রবণতা। তথ্য লুকানো হচ্ছে। কেউ ঠিক তথ্যটি দিচ্ছে না। একেক সময় একেক তথ্য। ত্রাণের জাহাজ কখন কোথায় আসবে? কখন বিতরণ করা হবে? এ সময় কারা থাকবে? প্রত্যেকটি বিষয়ে একেক সময়ে একেক তথ্য প্রচার করেছে গণমাধ্যমগুলো। কারণ তারা পেয়েছেও ওভাবে। যদিও সূত্র উল্লেখ করেছে। কিন্তু সাধারণ মানুষ কী এই বিষয়টি বুঝবে? তারা তো বলেই দিয়েছে, টানা এক সপ্তাহ বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করেছে বাংলাদেশের গণমাধ্যম।
একটু আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে না চাওয়া নিয়ে বলছিলাম। যে কোন প্রতিষ্ঠানের এই চর্চা এখন যন্ত্রণার পর্যায়ে চলে গেছে। টেলিভিশনের সাংবাদিকরা একারণে অপেক্ষাকৃত বেশি বিব্রত। কারণ তাঁকে রিপোর্ট করতে গেলে কারো না কারো বক্তব্য রেকর্ড করতেই হয়। টেলিফোন করে পত্রিকার রিপোর্টার যে কাজটি সারতে পারেন সেই কাজটি করতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকেন টেলিভিশনের সাংবাদিক। বহু ক্ষেত্র আছে দীর্ঘ সময় ঝুলিয়ে রাখার পর বলেন, “আমরা এ নিয়ে কিছু বলবো না”। তথ্য অধিকার আইন তখন সাংবাদিককে বাঁচাতে পারে না। কারণ বিষয়টি হয়তো জন্ম-মৃত্যু, জেল-জরিমানা সংক্রান্ত নয়। এখন বার্তাকক্ষে কাজ করার গড় অভিজ্ঞতা থেকে আমি বলতে চাই, সাংবাদিকদের কাছে অকারণে তথ্য আটকে রাখার কাজটি সবচেয়ে বেশি করে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো। তার পরেও আমাদের সাংবাদিকরা অভিযোগ করেন না তথ্য কমিশনে। তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী এই আইনের সংরক্ষক প্রতিষ্ঠান তথ্য কমিশন। তথ্য না পেলে যে কেউ সেখানে অভিযোগ করতে পারেন। ২০১৫ সালে প্রকাশিত এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ৩৩৬টি অভিযোগ দায়ের হয়েছে তথ্য কমিশনে। আমলে নেয়া হয়েছে ২৪০টি অভিযোগ। এর মধ্যে শতকরা ৮৩ ভাগ অভিযোগ দায়ের করেছেন অন্য পেশাজীবীরা। আর সাংবাদিকরা করেছে মাত্র ১৭ ভাগ। আরেকটি বেসরকারি সংগঠনের জরিপে বলা হচ্ছে, তথ্য কমিশনে যত তথ্য না পাওয়ার অভিযোগ আসে, তার অর্ধেকই ভূমি সংক্রান্ত। আর তথ্য কমিশনে হস্তক্ষেপের পর শতকরা ৪৬ জন পূর্ণাঙ্গ তথ্য পান। ২৬ জন কোন তথ্যই পান না। ১০ ভাগ পান আংশিক, ২ ভাগ পান বিভ্রান্তিকর তথ্য এবং ১৬ ভাগ অভিযোগকারী কমিশনকে জানান না যে, তিনি তথ্য পেয়েছেন কী পাননি। এই সংখ্যাতত্তে¡র ওপর ভিত্তি করে বলাই যায় যে, তথ্য অধিকার আইনের ব্যবহারে অন্যান্য পেশাজীবীরা সাংবাদিকদের তুলনায় সুখকর অবস্থানে আছেন।
সংবিধানের ৩৯ ধারা অর্থাৎ প্রতিটি মানুষের চিন্তা, বিবেক ও কথা বলার অধিকার নিশ্চিত করে। সেই অধিকার প্রতিষ্ঠার পথে হাঁটলে তথ্য প্রাপ্তিও তার মৌলিক অধিকার। তারপরেও আলাদা করে তথ্য অধিকার আইন নামে বিশেষ আইন তৈরির বড় কারণ, স্বাধীন এবং স্বচ্ছ গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠা। কিন্তু সাংবাদিক হিসেবে আমি বলতে পারছি না যে, শুধু তথ্য অধিকার আইনের কারণে সাংবাদিকের তথ্য প্রাপ্তি ন্যূনতম সহজ হয়েছে। লেখক: বার্তা সম্পাদক, একাত্তর টেলিভিশন, palash_ahasan2003@yahoo.com