ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের রাজনৈতিক দপ্তরের প্রধান ইসমাইল হানিয়া বলেছেন, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় দখলদারবিরোধী বিক্ষোভ মিছিল অধিকৃত বায়তুল মুকাদ্দাসের ব্যাপারে ওয়াশিংটনের নতুন নীতির বিরুদ্ধে একটি জনপ্রিয় প্রতিবাদে রূপ নিয়েছে।
সোমবার রাশিয়ার স্পুটনিক সংবাদ সংস্থাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ইসমাঈল হানিয়া বলেন, গাজা উপত্যকায় ইসরাইল এবং মার্কিন বিরোধী বিক্ষোভের মাধ্যমে গাজাবাসীরা ফিলিস্তিনিদের পরিস্থিতি সম্পর্কে বিশ্ববাসীর মনোযোগ আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছেন।
এসব জনপ্রিয় বিক্ষোভ সমাবেশ ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের নেতৃত্বে সংঘটিত হয়েছে।
হানিয়া বলেন, আমি বিক্ষোভকারীদের ধন্যবাদ জানাই যে এর মাধ্যমে কিছু লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে এবং চূড়ান্ত লক্ষ্যে না পৌঁছা পর্যন্ত তারা তাদের এ বিক্ষোভ অব্যাহত রাখবে।
তিনি আরো বলেন, নিজেদের হারানো ভূমিতে ফিরে যাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করতে এসব বিক্ষোভ ফিলিস্তিনি জনগণকে সহায়তা দেবে।
ইসমাইল হানিয়া তার সাক্ষাৎকারের অন্য অংশে ফিলিস্তিনি জাতি ও প্রতিরোধ সংগ্রামে সমর্থন দেয়ার জন্য ইরান ও সিরিয়ার প্রশংসা করেছেন।
তিনি বলেন, সিরিয়ার সরকার এবং জনগণ সব সময় ফিলিস্তিনি জনগণের পাশে ছিলেন এবং তাদের অধিকারের প্রতি সমর্থন দিয়েছে।
হামাস প্রধান বলেন, “ইরান হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের গুরুত্বপূর্ণ একটি দেশ। এই দেশটির সঙ্গে হামাসের সম্পর্ক এখন কৌশলগত পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে। এটা বলা যায় যে, হামাস ও ইরানের মধ্যে এখন সর্বোত্তম ও সবচেয়ে উচ্চ পর্যায়ের সম্পর্ক বিরাজ করছে।”